২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন


ভাঙ্গুড়ায় সাবেক এমপি মকবুলের দুই পুত্রসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা
ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৪
ভাঙ্গুড়ায় সাবেক এমপি মকবুলের দুই পুত্রসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা ভাঙ্গুড়ায় সাবেক এমপি মকবুলের দুই পুত্রসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা


পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনের দুই পুত্র গোলাম হাসনাইন রাসেল ও ইবনুল হাসান শাকিলের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর শাকিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর  পাবনার আমলী আদালতে মামলাটি করেন ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ভদ্রপাড়া মহল্লার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুজ্জামান মিঠু। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান আরিফসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে  আসামি করা হয় ।  আজ শুক্রবার দুপুরে মামলার বাদীর আইনজীবী এডভোকেট  সাখাওয়াত হোসেন সোহেল মানবজমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ৫ মে বিকেল ৪ টার দিকে এমপি পুত্র রাসেল-শাকিল ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় লোক ব্যবসায়ী মিঠুকে অস্ত্রের মুখে পৌরশহরের বড়াল বেইলিব্রীজের পূর্ব পাড় থেকে অপহরণ করে। পরে অভিযুক্তরা আরিফের বাড়ির একটি নির্জন কক্ষে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়।এসময় মুক্তিপণ হিসেবে ব্যবসায়ী মিঠুর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরে ১২ লাখ টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে মুক্তি পান  তিনি। এঘটনায় কোন মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। 

মামলার বাদী আনিছুজ্জামান মিঠু জানান, এমপি পুত্রদের কাছ থেকে  প্রাণনাশের হুমকি থাকায় এতোদিন তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি। তাই গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে পাবনার বিজ্ঞ আমলী আদালতে  মামলাটি দায়ের করেন তিনি । আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বলেন, ব্যবসায়ী মিঠু  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে

আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। বিজ্ঞ  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে পিবিআইয়ের এসআই তুহিন বলেন, আদালত থেকে এই মামলার কোন নথি তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।