পুনর্গঠনের পর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ পরিষদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে রামেবি অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি নার্সিং কলেজের বেসিক বিএসসি কোর্সের ১৭ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া সহঃ সমন্বয়ক করা হয়েছে ৩৭ জনকে। সম্প্রতি পরিষদের উপদেষ্টাদের অনুমোদনক্রমে এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম মুর্শেদ জামান মিঞা, রাজশাহী নার্সিং কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুল হাসান হেলাল ও একই কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর মো. শহীদুজ্জামান শাহীন।
কমিটির ১৭ সমন্বয়ক হলেন- রাজশাহী নার্সিং কলেজের শাহরিয়ার হাসান ফাহিম, রংপুর নার্সিং কলেজের রায়হান আলী, দিনাজপুর নার্সিং কলেজের মেহেদী হাসান, লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের আফরোজা ইয়াসমিন, রংপুর নার্সিং কলেজের সাব্বির খান পিয়াল, রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের আমানুল্লাহ আমান, রাজশাহী নার্সিং কলেজের রিফাত আল মাহমুদ, রংপুর নার্সিং কলেজের তাজমিনা খাতুন, রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের নাহিদ হোসেন, রাজশাহী নার্সিং কলেজের জহিরুল ইসলাম, রংপুর নার্সিং কলেজের জিনাত নাহার, রাজশাহী নার্সিং কলেজের নাজনীন আক্তার ও সজিব হাসান, রাজশাহী উদয়ন নার্সিং কলেজের শাকিল আহমেদ, রাজশাহী নার্সিং কলেজের মেহেদী হাসান ও আল আমিন মন্ডল এবং উদয়ন নার্সিং কলেজের আনোয়ার পারভেজ বাপ্পী। এদের মধ্যে জহিরুল ছাড়া সবাই ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অন্যতম সমন্বয়ক আমানুল্লাহ আমান বলেন, রামেবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নার্সিং অনুষদ অবহেলিত ও বৈষ্যমের শিকার। ফলে সেশনজটসহ বেশকিছু জটিলতা তৈরি হয়। এসবের প্রতিবাদে ও যৌক্তিক দাবি আদায়ে সমন্বয়ক পরিষদ আগেই তৈরি হয়েছিল। সেটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। নার্সিংয়ের উন্নয়নে এ পরিষদ সোচ্চার থাকবে। এ ব্যাপারে উপদেষ্টা ডা. এম মুর্শেদ জামান মিঞা বলেন, রামেবির নার্সিং শিক্ষার্থীরা বেশ সক্রিয়। দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে, সকল বৈষম্য দূরীভূত হবে।