রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন এলাকায় ফের রমরমা মাদকের কারবার। গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যথানের পর পর্যপ্ত প্রশাসন মাঠে না থাকায়, মাদক কারবারীরা নিচিন্তে মাদকের বিশাল সম্রজ্জ গড়ে তুলেছে মহানগর জুড়ে। মহানগরী বোয়ালিয়া ও মতিহার থানাধীন এলাকায় অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, বোয়ালিয়া থানার ২৫টি স্পট ও মহিতার থানার ১৫টি মাদক স্পটের তথ্য পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বোয়লিয়া থানাধীন এলাকার মধ্যে সবথেকে বড় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে পদ্মা নদীরধার এলাকাকে কেন্দ্র করে, মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ফুদকি পাড়া নদীরধার এলাকায় বিক্রয় হয় চুয়ানি, বাংলা মদ, পাচঁনিমাঠ নদীরধার এলাকায়- মরণঘাতি মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিলস, পঞ্চবটি শশানঘান নদীরধার এলাকায়- মরণঘাতি হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা ও প্যাথারিং, খরবোনা এলাকায়-ইয়াবা, ফেন্সিডিলস, গাজা এবং মাদকের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে জুয়ার বিশাল করাবার, কেদুরমোড় হিন্দুপাড়া, নদীরধার ও বউ বাজার এলাকায়-মরণঘাতি হেরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিলস ও গাজা, হাদীরমোড় এলাকায়- ইয়াবা, দ্বেতারতলা এলাকয়- ইয়াবা ও ফেন্সিডিলস, শহীদ মিনার শিমুলতলা এলকায় আলোর পাঠশালার সামনে- গাজা বিক্রিয় হতে দেখা গেছে।
বোয়ালিয়া থানাধীন নদীরধার এলাকায় শুধু মাদকের রমরমা কারবার গড়ে উঠেনি বরং বোয়ালিয়া থানার বাস টার্মিনাল এলাকায়- বাংলা মদ, গাঁজা, ও ইয়াবা, নিউমার্কেট এলাকায়-ইয়াবা ও গাজা, হেতেম খা নেসকোর পেছনে - ফেন্সিডিলস ও ইয়াবা, দরগাপাড়া ও পাঠানপাড়া এলকায়-হেরোইন, ইয়াবা ও গাজা, বেলদারপাড়া সংসদ মাঠের পাশে-বাংলা মদ, খুলিপাড়া এলাকায়-হেরোইন ও গাজা, মীরের চক মসজীদ সংলগ্ন গাড়ীর গ্যারেজের পাশ্ববর্তী এলাকায়- ইয়াবা ও গাজা, সাধুরমোড় অর্কিড ছাত্রবাস ও সাধুরমোড় রেডিয়ান পাবলিক স্কুলের সামনে-ইয়াবা ও গাজা, মুন্নাফের মোড় এলাকায় ফেন্সিডিলস, মোন্নাফের মোড় পল্টু পাড়া এলাকায়-হেরোইন, ইয়াবা ও গাজা বিক্রিয় হতে দেখা গেছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. এরশাদ আলী ঈশা বলেন, মাদক কারবারীরা সমাজের শত্রæ এই মাদকের মাধ্যেমে আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। একজন মাদক কারবারী সামাজ ও পরিবারের বোঝা, আমাদের সবার উচিত এই মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
তিনি আরও বলেন, বিগতদিনে মাদক যারা মাদক কারবারী ছিল, তাদের আমাদের দলে কোন ঠাঁই নাই এবং আমরা কোন ঠাঁই দিব না। সুতরাং মাদক কে কিভাবে বিলুপ্ত করা যায় সে বিষয়ে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পরামর্শ ব্যবস্থা নিব, ইনশাল্লাহ!
বোয়ালিয়া থানা পশ্চিমের আহবায়ক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব হাতে পেয়েছি। আমরা সকলেই জানি মাদক হলো দেশ ও জাতীর শত্রæ। বোয়ালিয়া থানাধীন এলাকায় যারা মাদক করাবার করে আসছে তাদের আমরা হুশিয়ার করব, যাতে তারা মাদক করবার থেকে ফিরে আসে এবং সমাজ ও যুবকদের নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে কাঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
কেদুরমোড় এলাকার বাসিন্দা মো: শান্তি বলেন, কেদুরমোড় এলাকার যারা সচেতন মানুষ আছেন, তাদেরকে নিয়েই এই মাদক কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে চাই। আর আমাদের এলাকায় যারা মাদক কারবারী ও মাদক সেবনকারী আছেন, তারা হুশিয়ার ও সাবধান থাকবেন। তারা যেন এ দূষিত কারবার থেকে সরে এবং অন্য কাজ-কাজ করে খান।
পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা মোঃ রানা বলেন, পঞ্চবটি এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে মাদক কারবার হয়ে আসছে। প্রশাসন কেন যেন, আমাদের এলাকার মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে আছি। এই মাদক কারবারীরা, এই মাদক চোরাচালীন কারবারীরা এদের একটি বড় সিন্ডিকেট যারা বিভিন্ন জায়গায় টাকা, অর্থ সম্পদ দিয়ে তাদের কিনে রাখে বিশাল রমরমা কারবার করে আসছে।
আমরা যখন সাধারণ জনগণ এই মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, তখন উল্টা তারায় আমাদের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তাদের যে কেনা মাস্তান, গুন্ডা-পান্ডা আছে তাদের মাধ্যমে আমাদের ওপর অত্যাচার নিপিড়ন চালায়, কেন আমরা প্রতিবাদ করছি?
আমি বিশেষভাবে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান স্যারের দৃষ্টি আর্কষণ করছি, যাতে বিশেষভাবে আমাদের পঞ্চবটি এলাকার মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।