রাজশাহী মহানগরীতে সুমন জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে স্বর্ণলংকার ডাকাতীর অভিযোগ উঠেছে সাবেরা খাতুন সম্পা (২৩), নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাহেববাজার স্বর্ণপট্টির দোকানীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মহানগরীর সাহেববাজার স্বর্ণপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার সাবেরা খাতুন সম্পা, সে মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর ভাটাপাড়া এলাকার মোঃ ডাবলু’র মেয়ে।
এ ব্যপারে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে দোকানীদের কাছে। কেউ বলছেন, দোকান মালিক সুমনকে বিরায়ানীর মধ্যে ট্যাবলেট বা নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন। সেই খাবার খেয়ে দোকানী স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। সেই সুয়োগে সম্পা বিভিন্ন ধরনের রেডিমেট স্বর্ণলংকার দেখাতে বলে সম্পা। দোকানীও কাষ্টমার ভেবে একাধীক ডিজাইনের স্বর্ণলংকার বের করে দেখাতে থাকেন ওই নারীকে। এক পর্যায়ে দোকানী সুমন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। সেই সুযোগে সম্পা তার কাছে থাকা একটি ব্যাগে স্বর্ণলংকার ঢুকিয়ে দোকান থেকে বের হতেই অন্যান্য দোকানীরা সম্পাকে আটক করেন।
আবার স্বর্ণপট্টীর অর্চনা জুয়েলার্সের মালিক পিন্টু সরকার বলেন, দুপুরে স্বর্ণের দোকানী সুমন ও তার দুই কর্মচারীকে বিরায়ানী খাওয়ায় সাবেরা খাতুন সম্পা। পরে দোকানী সুমনের কথাবার্তার পরিবর্তন দেখে সম্পার উপর নজর রাখেন তারা। এক পর্যায়ে সুমন অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারীকে পুলিশে সোপর্দ করেন দোকানীরা।
তবে আটক সাবেরা খাতুন সম্পা দোকানীদের জিজ্ঞাসাবাদে ভিডিও ক্যামেরার সামনে স্বিকার করে বলেন, চেইন নিতে এসেছিলাম। খবারের মধ্যে দুইটি ট্যাবলেট দিয়েছিলাম। খাবারের ভেতর ট্যাবলেট দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকান থেকে জিনিষ নেওয়ার জন্য ট্যাবলেট দিয়েছিলাম। এর আগেও রাজশাহী কোর্ট বাজারে সুমন নামের অপর এক স্বর্ণের দোকানে এমন কাজ করেছে বলেও স্বিকার করেন তিনি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই মোঃ আলী আকবর আকন্দ জানান, সাবেরা খাতুন সম্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। সঠিক কথা স্বর্ণের দোকান মালিক সুমন বলতে পারবেন।