পেজার বিস্ফোরণে লেবাননে মৃত্যুমিছিলের মধ্যেই সেদেশে বড়সড় হামলা চালাল ইজরায়েল। পেজার কাণ্ডে তেল আভিভের তীব্র সমালোচনা করে বার্তা দিয়েছিলেন হেজবোল্লার নেতা হাসান নাসরাল্লা। তাঁর ভাষণের পরদিনই লেবাননে হামলা ইজরায়েল সেনার। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে হেজবোল্লার ১০০টি রকেট লঞ্চার।
ধ্বংস হয়েছে ১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র। তবে দুই দেশকেই আপাতত শান্ত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন।
বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি সেনার এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে বলা হয়, লেবাননে হেজবোল্লার ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে যেন তাদের জঙ্গি কার্যকলাপের তীব্রতা কমানো যায়। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হেজবোল্লার একাধিক ঘাঁটিতে আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল। বেশ কয়েকটি ভবন এবং অস্ত্রভাণ্ডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই হামলায়। সূত্রের খবর, ইজরায়েলি সেনার হামলায় দক্ষিণ লেবাননের ১০০টি রকেট লঞ্চার একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ওই ঘাঁটিগুলোতে থাকা এক হাজার রকেটও ধ্বংস হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের এই হামলার আগের দিনই তেল আভিভের কড়া নিন্দা করেছিলেন হেজবোল্লা নেতা নাসরাল্লা। তিনি বলেন, দেশজুড়ে 'গণহত্যা' চালিয়েছে ইজরায়েল। তার জন্য তেল আভিভকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। হামলা হবে গোটা ইজরায়েলজুড়ে। হেজবোল্লার এই বার্তার পরেই পালটা আক্রমণ শানায় ইজরায়েলি সেনা। তবে মধ্যপ্রাচ্যে এমন উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়েছে লেবানন। প্রাণ গিয়েছে ১২ জনের। আহত ৪ হাজারের কাছাকাছি। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে জখমদের ভিড়ে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন করে বিস্ফোরণ হয় লেবাননে। দুমদাম ওয়াকি-টকি ফেটে মৃত্যু হয় অন্তত ২০ জনের। আহত ৪৫০। এহেন পরিস্থিতিতে হেজবোল্লার উপরে সরাসরি হামলা ইজরায়েলের।