রাজধানীর তুরাগ কামারপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে এক নারী ও তার মেয়ের গায়ে এসিড ছুড়ে ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করেছে এক দুর্বৃত্ত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ অবস্থায় মা ও মেয়েকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলো, সাথী রানী হালদার (৩৬) ও তার দুই বছরের মেয়ে বিজয়িনী হালদার।
দগ্ধ সাথীর দেবর অশ্বিনী হালদার জানান, তাদের বাড়ি পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার ডেমড়া গ্রামে। বর্তমানে তুরাগ কামারপাড়ার তারা মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বিজয়িনীর বাবা জয় কুমার হালদার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সাথী রানী গৃহিণী। এই দম্পতির আরও দুই মেয়ে আছে।
অশ্বিনী হালদার জানান, সকালে মেয়ে বিজয়িনীকে নিয়ে বাড়ির কিছুটা দূরে সেলুনে চুল কাটাতে যান সাথী রানী। সেখান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার গেটের সামনে পৌঁছালে এক যুবক তাদের পিছু পিছু আসেন। রফিক নামে কেউ আছে না কি জিজ্ঞেস করেই তার হাতে থাকা এসিড নিক্ষেপ করেন। পরে সাথীর গলায় থাকা আট আনীর স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে দ্রুত মা ও মেয়েকে প্রথমে উত্তরা মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ সাথী রানীর স্বজনরা জানান, ওই যুবক গলার চেইন ছিনতাই করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। বাসার বাইরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বিকেলে মা ও মেয়ে এসিড দগ্ধ হয়ে ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে মেয়ে বিজয়িনীর ২০ শতাংশ ও মা সাথী রানীর ১৩ শতাংস দগ্ধ হয়েছে। দুজনের অবস্থাই গুরুতর।