নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সোহরাব হোসেনকে নারী-সহ আটক করেছে স্থানীয়রা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সিংড়া থানা মোড় এলাকায় সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সোহরাব হোসেন উপজেলার আগমুরশন গ্রামের মোঃ ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, একই গ্রামের মোছাঃ সীমা খাতুন (৩২), পিতা: মোঃ সুজাউল ইসলাম, সে সিংড়া থানা মোড় এলাকায় পৌর আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের (সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকত)।
সীমা খাতুনের স্বামী মোছাঃ লিটন, সাং- পেট্রোবাংলা, থানা: সিংড়া জেলা, নাটোর। সীমা খাতুনের স্বামী ঢাকায় চাকুরী করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সোহরাব হোসেন, সে প্রায় ৪ মাস যাবত সীমা খাতুনের ভাড়াটিয়া বাসায় মাঝে মধ্যে যাওয়া আসা করে ও রাত যাপন করে। বিষয়টি সীমা খাতুনের ছেলে মোঃ সিফাত (৮) তার পিতা মোঃ লিটনকে জানালে লিটন তার ছেলে সিফাতকে বলে এর পরে ওই লোক বাসায় আসলে তুমি বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে আমাকে ফোন করবে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সোহরাব হোসেন সীমার ঘরে প্রবেশ করলে ছেলে সিফাত বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে তার বাবা লিটনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের ভাড়াটিয়া বাসা ঘিরে রেখে ও তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে। পরে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয় নাই।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসমাউল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি উভয় পক্ষের কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বেবস্থা গ্রহণ করা হবে।