স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
রবিবার ভারতের বীরভূমের মহম্মদবাজার কুমোরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।
জানা গেছে, মৃত সাতাশ বছরের তিথি অঙ্কুর ও বছর চল্লিশের সঞ্জীব অঙ্কুর। কুমোরপুর গ্রামের বাসিন্দা তিথির দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় চন্দ্রুপুর থানা এলাকার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীবের সঙ্গে। তিথির প্রথমপক্ষে দুই সন্তান রয়েছে। আর দ্বিতীয় পক্ষে তিথি-সঞ্জীবের আড়াই বছরের এক মেয়ে আছে।
তিথির বাবা জানান, রবিবার মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল। তাই তাঁদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। তিথি ও সঞ্জীবের পাশের ঘরে ছিল তিন ছেলেমেয়ে। মাঝরাতে আড়াই বছরের মেয়েটি কেঁদে ওঠে। তাকে পাশের ঘরে মায়ের কাছে দিতে গিয়েছিল ছেলেরা। তখনই রোমহর্ষক দৃশ্য তাদের চোখে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছোট বোনকে পাশের ঘরে দিতে গেলে বাকি দুই ছেলেমেয়ে দেখে, মেঝেতে পড়ে আছে মা, আর বাবা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। মৃত তিথির বাবা বামদেব জানান, মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে মাঝেমাঝে ঝগড়া হতো। তবে পরিণতি এমন হবে, ভাবতেও পারেনি। পুলিশের ধারনা, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সঞ্জীব আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।