ছাত্রীকে পড়ানোর সময় শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ওই শিক্ষককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেমারি থানা এলাকায় ‘নির্যাতিতা’ ছাত্রীর বাড়ি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোচিং সেন্টারে পড়তে যায় ছাত্রী। অভিযোগ, ক্লাস শেষে অন্যান্য পড়ুয়াকে ছুটি দিলেও নানা উসিলায় তাঁকে আরও কিছু ক্ষণ শ্রেণিকক্ষে রেখে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন শিক্ষক। পরে বাড়ি গিয়ে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে পুরো ঘটনা বলে। সব শোনার পর তাঁর মা থানায় গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্য দিকে, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে ছাত্রীর পরিবারের এবং পাড়ার কিছু লোকজন অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সন্তানকে রক্ষা করার জন্য তাঁর বাবা-মা দৌড়ে এলেও তাঁদেরও মারধর করা হয়। এছাড়া, অভিযুক্তের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন শিক্ষকের ভাই। দুই ঘটনার তদন্তে নেমে উভয় পক্ষের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষকের ভাইয়ের দাবি, পড়া না করায় ওই ছাত্রীকে শাসন করতে গিয়েছিলেন ভাই। সেই সময় কোনও ভাবে তাঁর গায়ে হাত লেগে যায়। সেটাকে শ্লীলতাহানি বলে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হন ছাত্রীর পরিবার এবং পাড়ার লোকজন।
সোমবার গ্রেফতার আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। শিক্ষককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ২২ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ‘নির্যাতিতা’ ছাত্রীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিশ। বাকিদের সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন সিজেএম।