রাজশাহীতে জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেন কো-অর্ডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে নগর ভবনে সচিব মহোদয়ের দপ্তর কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২৪ নভেম্বর হতে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চারদিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে ১০- ১৪ বছর বয়সী ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি কিশোরকে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগরীতে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের সার্বিক অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় রাসিকের প্রশাসক মহোদয় বলেন, নগরীতে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী এখনও এইচপিভি টিকা গ্রহণ করেনি সে সকল শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পেইনের এই সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণ করতে হবে। সরকারের বিনামূল্যের এ টিকা অত্যন্ত কার্যকর।এটি গ্রহণে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় বর্হিভূত যারা এখনও এ টিকা গ্রহণ করেননি এ ক্যাম্পেইনের বর্ধিত সময়ে বাদ পড়া সকলকে এইচপিভি টিকা গ্রহণ করতে আহবান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ জাফরুল হোসেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোঃ মোবারক হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোঃ সানাউল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডাঃ কস্তরী আমিনা কুইন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডাঃ কামরুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ আনিসুজ্জামান সিকদার, সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ স.ম বায়োজীদ উল ইসলাম, রাসিকের এক্সিকিউট ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব আরাফাত আমান আজিজ, এডিপিইও মোঃ সাইফুল ইসলাম, ভ্যাটানারি সার্জন ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডাঃ ফারহানা হক।