উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফল প্রকাশের পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এবার কেন্দ্রীয়ভাবে ফল প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ফল ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীরা মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ফল দেখতে পারবেন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী। আর ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৫৩ হাজার ৫৪৬ জন।
এ বছর ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। কয়েকটি পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে কয়েক দফায় স্থগিত করা হয়। পরে সংশোধিত সময়সূচি করেও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়। এরপর শুরু হয় বাতিল পরীক্ষাগুলো ফলাফল নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা। শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ফল নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা পরিমার্জন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে শুধু এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৫ বছরের রীতি ভেঙে ভিন্ন পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ফলাফল প্রকাশ করা হতো প্রধানমন্ত্রীর হাত তুলে দেওয়ার মাধ্যমে। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করতেন। এবার সেই রীতি ভেঙে নতুন আঙ্গিকে ফল প্রকাশ করা হবে। তাছাড়া ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষ্যে কলেজ ছুটি থাকায় ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীদের অনেকটা অনলাইন-নির্ভর থাকতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড থেকেও অনলাইনে, এসএমএসে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে ফলাফল পাওয়া যাবে, তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার কোনো অনুষ্ঠান না থাকায় সবার নজর অনলাইনের দিকে।