২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন


মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ভিডিও শেয়ার করলেন, পাইলট নারিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৬-২০২৪
মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ভিডিও শেয়ার করলেন, পাইলট নারিন মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ভিডিও শেয়ার করলেন, পাইলট নারিন


বিমান চালক হিসেবে প্রশিক্ষণের সময় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন পাইলট নারিন মেলকুমজান। কয়েকবছর আগে ট্রেনিং চলাকালীন টুসিটার 330LX বিমান নিয়ে একাই আকাশে উড়েছিলেন নারিন। 

এই ধরনের টু সিটার বিমানের ককপিটকে রক্ষা করার জন্য ওপরে একটি স্বচ্ছ ঘেরা ছাউনি থাকে, যা ক্যানোপির নামে পরিচিত।

টুইটে শেয়ার করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, আচমকা মাঝ আকাশে নারিনের ককপিটের ওপরে লাগানো ওই ক্যানোপি খুলে যায়! নারিনের কথায়,  "ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। বিপরীত দিক থেকে দ্রুত বেগে ধেয়ে বাতাসের বিরুদ্ধে চোখের পাতা খোলা রাখতে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছিল।"

২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভয়ঙ্কর ভিডিও শেয়ার করে নারিন লিখেছেন, "শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। এদিকে কোচের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে বিচলিত হয়েছিলাম। পরে ট্রেনিংয়য়ের সময় শোনা কথাটা কাজে লাগিয়েছিলাম, 'শুধু উড়তে থাকুন'।"

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘন ঘন নিজের ফ্লাইং ভিডিও পোস্ট করার জন্য পরিচিত নারিন মেলকুমজান। 

সারিন জানিয়েছেন, ওই ঘটনার  আগেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবেও দুর্বল ছিলেন। তা সত্ত্বেও ট্রেনিংয়ে চলে এসেছিলেন।

তরুণী পাইলটের কথায়, "বিমান নিয়ে আকাশে ওড়ার আগে আমার ভাল করে দেখে নেওয়া উচিত ছিল, ককপিটের সঙ্গে ক্যানোপি ঠিকঠাক লাগানো হয়েছে কিনা। তা হলে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত না।"

অনেক কষ্টে ফের বিমানটিকে নিয়ে অবতরণ করলেও ঘটনার জেরে নিজের সম্পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতে নারিনের প্রায় ২৮ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। 

হঠাৎ কেন পুরনো এই ভয়ঙ্কর ভিডিও শেয়ার করলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নারিন। তাঁর কথায়, ""আপনি যদি একজন পাইলট হয়ে থাকেন তবে আমি আশা করব যে আমার এই ভিডিওটিকে একটি সতর্কতামূলক ভিডিও হিসাবে দেখবেন এবং আপনি আমার ভুল থেকে শিখবেন।"