আজকাল অনেকেই কিডনির সমস্যায় ভোগেন। কিডনিতে পাথর হওয়া তো সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা না করলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল, কিডনি। এটা আদতে ছাঁকনির কাজ করে এবং দেহের বর্জ্য সময়মতো শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। ফলে কিডনি বিকল হলে শরীরও অচল হয়ে পড়বে।

কিডনিতে পাথর হওয়া বা অন্যান্য সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী আমাদের অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। আমাদের কিছু অভ্যাস কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। সেই অভ্যাসগুলি কী কী জেনে নিন-

অনেকেই বেশি পরিমাণে নুন খান। রান্নায় অতিরিক্ত নুন ব্যবহারের পাশাপাশি অনেকে কাঁচা নুন খান, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত নুন খেলে দেহে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। যা রক্তচাপ বাড়ানোর পাশাপাশি কিডনিরও মারাত্মক ক্ষতি করে। 

কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ জল। একজন সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্কের দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া উচিত বলে মনে করা হয়। পর্যাপ্ত জল খেলে কিডনি থেকে বর্জ্য সহজেই বেরিয়ে যায়। কিন্তু, জল কম খেলে কিডনির উপর চাপ বাড়ে, যা ধীরে-ধীরে কিডনির ক্ষতি করে। 

জল কম খেলে এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত ফাস্টফুড খেলে লিভারের পাশাপাশি কিডনিরও ক্ষতি হয়। কম জল খাওয়া এবং অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবার কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

অনেকেরই প্রিয় রেড মিট। এটি প্রোটিনের ভাল উৎস বলেও বিবেচিত হয়। কিন্তু, অতিরিক্ত রেড মিট খেলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। রেড মিট ছাড়াও অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার কিডনির ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল খেলেও কিডনির ক্ষতি হয়। কিডনিতে পাথর সৃষ্টির ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান।