২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:২০:৩৪ অপরাহ্ন


সাবেক প্রতিমন্ত্রী দারাসহ আ'লীগের ৪০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
মেহেদী দাম (পুঠিয়া প্রতিনিধি):
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৯-২০২৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী দারাসহ আ'লীগের ৪০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই সাবেক প্রতিমন্ত্রী দারাসহ আ'লীগের ৪০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই


ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চাঁদাদাবি ও বিস্ফোরক আইনে ৪০ জন নামীয় ছাড়াও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ২০ জনকে। এদিকে, বাদীর দায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সুখানদিঘী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। রাকিবুল ইসলাম ওই গ্রামের নাজিমুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ সরদার, জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল মতিন, জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা হালিম শাহ, পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি, পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমন, বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা রাজিবুল ইসলাম রাজিব, আব্দুল জলিল ও ছাত্রলীগ নেতা মানিক ইসলাম প্রমুখ।

বাদীর আইনজীবী এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১১ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাটে রাজশাহী জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ এড. নাদিম মোস্তফার উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন মহাসচিব প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এমন সময় এজাহার নামীয় সহ অজ্ঞাত আসামীরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন এবং বিস্ফোরণ ঘটান। এক পর্যায়ে বাদী রাবার বুলেটে আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে পুঠিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়। বাদী ২৪ দিনে কারাবাসের পর জামিনে বের হয়ে তার জব্দকৃত মোটরসাইকেল নিতে গেলে আসামীরা চাঁদা দাবি করেন। এ কারনে বাদী দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন।

আইনজীবী এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, প্রাণভয়ে বাদী এতোদিন মামলা করতে না পারলেও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৩৮৬/৩৮৬/৫০৬(২) দঃবিঃ তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের (সং ০২) এর ৩/৪/৫ ধারায় মামলার আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদীর আবেদন গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।

পিবিআই রাজশাহীর পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, আদালত থেকে এ ধরনের কোনো মামলা তদন্তের জন্য এখনো (শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত) আদেশ বা নির্দেশনা আসেনি।