পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ঘরে ঢুকে শাহনাজ পারভীন (২৪) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শাহনাজ পারভীন ওই এলাকার আব্দুল মজিদের স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মজিদ ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী রাজুর (২৭) সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন শাহনাজ। ৮/৯ মাস আগে কিছুদিন তারা নিখোঁজও ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। কিছুদিন পর বাড়ি ফিরলে প্রথমে স্বামী তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়। এরপর কয়েক মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় চলে যান শাহনাজ। মঙ্গলবার ঈদে বাড়ি ফিরেন তারা।

পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজে গেলে পরকীয়া প্রেমিক রাজু শাহনাজের ঘরে ঢুকে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার দিলে রাজু পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, মাকে ছুরি দিয়ে মারে। আমি চিৎকার দিলে দৌড়ে পালিয়ে যান রাজু।

গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সঙ্গে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলতো। চলেও গেছিল তার সঙ্গে। সন্তানদের দিকে চেয়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো যে আমাকে শাহনাজের সঙ্গে সংসার করতে দিবে না।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।