২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৪১:২৫ পূর্বাহ্ন


স্যানিটারি প্যাড আসলে বানানো হয়েছিল পুরুষের জন্যই!
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৫-২০২৪
স্যানিটারি প্যাড আসলে বানানো হয়েছিল পুরুষের জন্যই! ছবি: সংগৃহীত


মহিলাদের জন্য নয়, পুরুষদের জন্যই বানানো হয়েছিল স্যানিটারি প্যাড। জানতেন কি এই ঘটনাটি? কোন কাজে ব্যবহার করতেন তাঁরা?

স্যানিটারি প্যাড নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক পুরুষই অস্বস্তিতে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই বহু পুরুষেরই। কিন্তু মজার কথা হল, এই স্যানিটারি প্যাড প্রথম পুরুষদের জন্যই বানানো হয়েছিল। কেন জানেন? সেই ঘটনা জেনে নিন। 

মহিলাদের জীবনে অতঃপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে স্যানিটারি প্যাড। নিয়ম করে ঋতুকালে এই প্যাড ব্যবহার করতে হয় অনেককেই। কিন্তু জানেন কি এই প্যাড আসলে প্রথমে তাঁদের জন্য তৈরিই হয়নি। হয়েছিল পুরুষদের জন্য। 

ফ্রান্সে এই প্যাড এক সময়ে খুব জনপ্রিয় হয়। তত দিন পর্যন্ত সেটি ছিল পুরুষের কাজে লাগার একটি জিনিস। সেখান থেকে আমেরিকার কয়েক জন মহিলা নার্স এটিকে নিজেদের ঋতুকালে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এর ফলে এই প্যাড হয়ে ওঠে মহিলাদের ব্যবহারের জিনিস। তার পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা পৃথিবীতে। সেটি আলাদা ইতিহাস। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, তার আগে এটি ব্যবহার করতেন পুরুষরাই। 

আমেরিকার বিজ্ঞানী, উদ্যোগপতি, লেখক বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন প্রথম তৈরি করেন এই স্যানিটারি প্যাড। এর ভিতরে থাকা উপাদানের আবিষ্কর্তা তিনিই। মজার কথা, তিনি এটি বানিয়েছিলেন মূলত পুরুষদের জন্যই। কেন জানেন? 

সেই সময়ে ইউরোপে যুদ্ধ চলছে। ফ্রান্সের সেনাদের রক্তপাত বন্ধের জন্য এই স্যানিটারি প্যাড তৈরি করেন তিনি। আমেরিকা থেকে এই প্যাডের উপাদান এসেছিল ফ্রান্সে। সেখানে আহত সৈনিকদের সেবার কাজে ব্যবহার হত এই প্যাড। এটি উনবিংশ শতকের শেষ দিকের ঘটনা। 

তার পরে আমেরিকার বেশ কিছু নার্স ফ্রান্সে আসেন ওই সৈনিকদের সেবার কাজে। তাঁরাই সঙ্গে করে এনেছিলেন এই প্যাড। পরে তাঁরাই আবার এটি নিজেরা ব্যবহার করতে শুরু করেন। সেখান থেকেই এটি ধীরে ধীরে মহিলাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়। 

তবে প্রথম দিকে এই প্যাড ছিল গরিব এবং মধ্যবিত্ত মহিলাদের ধরাছোঁওয়ার বাইরে। পরে এর বিপুল প্রোডাকশন শুরু হয়। এবং এগুলির দাম কমতে থাকে। তত দিন এই প্যাড মহিলাদের ব্যবহারের জন্য বানানো শুরু গিয়েছে। এর পর থেকে এটি আর কখনও পুরুষের কাছে ফিরে যায়নি। এর উপর এখন মহিলাদেরই একচেটিয়া অধিকার।