২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:২৭:০০ অপরাহ্ন


মশলাদার খাবারের বড় ক্ষতি জেনে নিন
ফারহানা জেরিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১০-২০২৪
মশলাদার খাবারের বড় ক্ষতি জেনে নিন মশলাদার খাবারের বড় ক্ষতি জেনে নিন


অনেকের মুখেই তেল, মশলা সমৃদ্ধ খাবারই একান্তই পছন্দের। তাই তাঁরা রোজ এই ধরনের খাবার খেয়েই দিন কাটান। আর কিছু মানুষ মশলাদার খাবার প্রীতি দেখেই চমকে যান বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই ধরনের খাবার মাঝে মধ্যে খেলে ঠিক আছে। তবে রোজ রোজ খেলে শরীরের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না। এই ভুলে বিপদে ফেলতে পারে জটিল সব সমস্যা।

তাই আর সময় নষ্ট না করে নিয়মিত মশলাদার খাবার খাওয়ার কয়েকটি ক্ষয়ক্ষতির দিক সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, তার পরই আপনার চোখ খুলে যাবে। আপনিও এ সব খাবার ছেড়ে হালকা খাবারের দিকে আকৃষ্ট হবেন।

নিয়মিত তেল, ঝাল, মশলাদার খাবার খেলে সবার প্রথমে পেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, অ্যাসিডিটি, গ্যাস হতে পারে। এমনকী বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার আশঙ্কাও কয়েকগুণ বাড়ে। এমনকী অন্ত্রের লাইনিং-এর ক্ষতি হওয়ার জন্য ডায়ারিয়াও নিতে পারে পিছু। তাই রোজ রোজ মশলাদার খাবার খাওয়ার ভুল করবেন না। তার বদলে হালকা খাবার খান। এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।

জানলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার অতি পছন্দের মশলাদার খাবার আদতে গলায় প্রদাহের কারণ হতে পারে। যার জন্য শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। শুধু তাই নয়, মশলাদার খাবার খাওয়ার জন্য রেসপিরেটরি ডিসট্রেস বা শ্বাসনালীর একাধিক সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্ট। বিশেষত, যাঁদের অ্যালার্জি থাকে, তাঁদেরই এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই আপনারা ঝটপট সাবধান হন।


উঠতে পারে হেঁচকি

উঠতে পারে হেঁচকি

ঝাল, মশলাদার খাবার খেলে আমাদের ফেরেনিক নার্ভ উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। যার ফলে ডায়াফ্রাম নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সেই সুবাদে বারবার হেঁচকি উঠতে পারে।


এমন পরিস্থিতিতে চেষ্টা করুন অল্প অল্প করে বারবার জলপান করার। তাতেই কিছুক্ষণের মধ্যে সমস্যাকে কাবু করা যায়। তবে এর পরও যদি সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জানলে অবাক হয়ে যাবেন, নিয়মিত মশলাদার খাবার খেলে হতে পারে আলসার। আর এই অসুখে একবার আক্রান্ত হলে পেটে খুব ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে বমি হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই এই ধরনের সমস্যা বেশ কিছু দিন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর পরামর্শ মেনে ওষুধ খান। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসেও আনুন বদল। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই অনায়াসে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।

সুস্থ থাকতে চাইলে ভাজার বদলে সিদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। রান্নায় তেল, মশলা যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করবেন, ততই মঙ্গল। এর পাশাপাশি প্রসেসড খাবারও খাবেন না। তার বদলে মরশুমি ফল, শাক ও সবজিতে ভরসা রাখতে পারেন। পাশাপাশি রোজের ডায়েটে থাকুক আটার রুটি, ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, ডালিয়া এবং ওটসের মতো খাবার। তাতেই শরীরের হাল ফিরবে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।