ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ করে রাখা ইসকন সদস্যদের সরিয়ে দিয়েছে পথচারী এবং স্থানীয় জনতা। পরে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা এবং ঢাকায় লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসকনের সদস্যরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে অবরোধ করেন ৬০-৭০ জনের একটি দল। পরে স্থানীয় জনতা এবং গাড়িতে থাকা যাত্রীরা তাদেরকে সরিয়ে দেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ৯টার দিকে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক পাওয়া গেছে।
শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, শাহবাগ মোড়ে অনেকে জড়ো হয়েছিল। জনতা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। আমরা সতর্ক আছি।
এ দিকে সরিয়ে দেওয়ার পর রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সনাতনীরা। তারা অভিযোগ করেন, শাহবাগে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন।
এ সময় তারা ‘চিন্ময় বাবু গ্রেফতার কেন? জবাব চাই জবাব চাই, জয় শ্রীরাম, কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’- বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে তন্ময় নামে একজন বলেন, চিন্ময় বাবুকে শুধু শুধু গ্রেফতার করছে। তার প্রতিবাদে শাহবাগে পুলিশ থাকা অবস্থায় আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের থেকেও পুলিশ সদস্যরা বেশি ছিল; কিন্তু তারা কিছু করেনি। চিন্ময় বাবুকে মুক্তি না দিলে দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থান হবে। ঢাকায় লংমার্চ সুনিশ্চিত।
পীযূষ দাস নামে আরেকজন বলেন, আমরা চিন্ময় দাসের মুক্তি চাই। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আমাদের মা এবং মাটি। এখানে আমাদের ভূমিপুত্রদের অত্যাচার করা হলে প্রতিরোধ করা হবে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলে সাধারণ শিক্ষার্থী নামে স্পষ্ট বিবৃতি শিরোনামে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে আহ্বান করা হয়।
এদিকে সনাতনীদের শাহবাগ অবরোধের সময় একটি জাতীয় দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদকর্মীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। পরে তিনি পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন।