সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে ফজল আলী (২৬) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক।
শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজল আলী উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।
আহত শ্রমিকরা হলেন- উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মণ্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০)।
আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ধান সিদ্ধ করার একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি, ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন বলেন, মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা বলেন, গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।
তবে আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক ইমরুল কায়েস বলেন, মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়েছি। বয়লারের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর ও কলকারখানা অধিদপ্তর দেখে।
কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যদি কারও অবহেলা থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন সুলতানা বলেন, মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।