১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৫৬:০২ পূর্বাহ্ন


রাজশাহী বিভাগের প্রায় সাড়ে ১২’শ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনো
স্টাফ রিপোটার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৯-২০২৪
রাজশাহী বিভাগের প্রায় সাড়ে ১২’শ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনো ছবি: সংগৃহীত


বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা যখন অধিকার আদায়ের রাজপথে তখন তাদের দমাতে সশস্ত্র অবস্থান নেয় পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ৫ আগস্ট পুলিশের সামনে চলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও ছিল প্রকাশ্যে।

রাজশাহী বিভাগে পুলিশের লুণ্ঠিত ৯২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রায় সাড়ে এক হাজার ২০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার যায়নি। কোনো সন্ধান নেই ১১ হাজারের বেশি গোলাবারুদের।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, বেসামরিক মানুষের হাতে এমন প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘিœত হওয়ার পাশাপশি হুমকিতে পড়বে জননিরাপত্তা।

তবে প্রশাসন বলছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের তথ্যমতে, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত ৩৪৯টি অস্ত্রের মধ্যে ২৫৭টি উদ্ধার হলেও এখনো হদিস মেলেনি ৯২টির। লুণ্ঠিত ১৬ হাজার ৮২২টি গোলাবারুদের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৫টি। ফলে এখনো ১১ হাজার ২৭টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে লাইসেন্সকৃত দুই হাজার ২৭৯টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে এক হাজার ১৩১টি। এখনো উদ্ধার করা যায়নি এক হাজার ১৪৮টি অস্ত্র।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লুটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বুধবার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে কোনো অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশরান ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, যেকোনো মূল্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। একটি অস্ত্র, গোলাবারুদও বাইরে থাকবে না। যৌথ বাহিনী কঠোরভাবে বিষয়টি দেখছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহমুদুল হক বলেন, বেসামরিক মানুষের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। রাজশাহী অঞ্চলে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। বেসামরিক মানুষের হাতে এমন প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়বে জননিরাপত্তা।