২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন


শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ গৃহবধূর
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৩-২০২৪
শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ গৃহবধূর শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ গৃহবধূর


সন্তান না হওয়ায় শাশুড়ির নিত্য লাঞ্ছনার মুখে পড়তে হত ৫২ বছরের গৃহবধূকে। সেই ক্ষোভ থেকে শাশুড়িকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন গৃহবধূ।  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা এলাকার রায়পুর এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রায়পুরের বাসিন্দা গোপাল নস্করের সঙ্গে ভারতী নস্করের বিয়ে হয়েছিল প্রায় ২০ বছর আগে। গোপালবাবু একটি ব্যাটারি তৈরির সংস্থার কর্মী। অনেক চেষ্টাতেও মা - বাবা হতে পারেননি দম্পতি। যার জেরে পুত্রবধূ ভারতীকে দিন রাত গঞ্জনা দিতেন শাশুড়ি যমুনা নস্কর (৭৬)। রবিবার সকালে শাশুড়ি - বউমার কলহ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন ঘরে থাকা কাটারি দিয়ে শাশুড়িকে বারবার আঘাত করতে থাকেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ যমুনাদেবী। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এর পর মহেশতলা থানায় পৌঁছে যান ভারতীদেবী। সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের কাছে তিনি শাশুড়িকে খুন করার কথা স্বীকার করেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বধূর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। সেখান থেকে রক্তাক্ত যমুনাদেবীকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর গ্রেফতার করা হয় ভারতী নস্করকে।

অভিযুক্তের স্বামী গোপাল নস্কর জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর ঝামেলা হত। অন্য সব বাড়িতে যেমন হয় তেমনই। সেজন্য যে ও মাকে আক্রমণ করবে তা বুঝতে পারিনি। যমুনা নস্করের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুধুই শাশুড়ি বউমার ঘরোয়া বিবাদ না কি এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? জানতে ধৃতকে জেরা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।