মালদহে আদিবাসী নাবালিকা এবং তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন জাতীয় মহিলা কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওল্ড মালদহের নায়ায়ণপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি ইটভাটা থেকে এক আদিবাসী নাবালিকার মাথা থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। নিহত ১৩ বছরের ওই আদিবাসী ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদনা পরব উৎসবে গিয়েছিল সে। তার পরই ঘটে এই ঘটনা। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় মালদহ থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে।
এদিকে, একই সময়ে বৈষ্ণবনগর থানার দুই শত বিঘি এলাকার একটি ভুট্টাখেত থেকে ৩৫ বছর বয়সি এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। গত চারদিন আগে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। তার পর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। দুই শত বিঘি এলাকায় একটি ভুট্টার খেতে কয়েকজন অল্পবয়সি ছেলে ছাগল চড়ানোর সময় ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে বলেই দাবি পুলিশের। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে X হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় মহিলা কমিশন।