বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে অবৈধ হস্তক্ষেপ, দেশব্যাপী গণহত্যা এবং ছাত্র-শিক্ষকদের সম্পর্কে কটুক্তির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ।
দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশ ও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে গণহত্যা ও ইউজিসির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে অবৈধ হস্তক্ষেপ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ বন্ধ ঘোষণা এবং ছাত্র-শিক্ষকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
এক বিবৃতিতে ফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেন: আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন ও কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকার নির্মমভাবে পুলিশ সহ দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে দমনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভিন্ন পন্থায় আন্দোলনকে দমানোর অপচেষ্টায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
দেশব্যাপী আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীবাহিনী নির্মমভাবে হামলা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে গণহত্যা চালিয়েছে তা সভ্য
সমাজে কল্পনা করা যায় না। একমাত্র অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট শাসকদের পক্ষেই এমনটি করা সম্ভব। আমরা অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে আরও লক্ষ্য করছি যে, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক ও ছাত্রদের সম্পর্কে যে ভাষায় কথা বলেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং জঘন্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সবচাইতে গুরুতর বিষয় হচ্ছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার দীর্ঘদিন ধরে যে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে তারই অংশ হিসাবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ইউজিসির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার আদেশ জারি করেছে যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের #৩৯;৭৩ এর অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ছাত্র-শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে ভিন্ন পন্থায় আন্দোলন দমনের যে অপচেষ্টা তা শিক্ষক ও ছাত্ররা কোনভাবেই মেনে নিবে না। সরকার ফ্যাসিবাদী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাময়িকভাবে আন্দোলন দমনে সফলতা দাবী করলেও স্মারক নং: তারিখ: ১৭.০৭.২০২৪
মোবাইল: সভাপতি- ০১৭১২২৩৩৬৩০; সাধারণ সম্পাদক-০১৭১২১৪১২৭৩ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচারী সরকারকে নতি স্বীকার করতেই হবে বলে
আমরা বিশ্বাস করি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিজেদের মান মর্যাদা পুনঃ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এই দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি এবং সকল নিয়োগে কোটা সংস্কার করে মেধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার দাবীতে ছাত্র-ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।