রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাফফাত নায়েম নাফিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। এনিয়ে মোট ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী র্যাব-৫ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, রাবি শিক্ষার্থী নাফিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও চাঞ্চল্যকর। আর তাই, এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৫ আসামীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করে। শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধীন জাহাজঘাট এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আরও দ’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: নরগীর খোঁজাপুর এলাকার মোঃ আব্দুল ওহাবের ছেলে মোঃ সালাউদ্দীন বাপ্পী (২৭) ও একই এলাকার মোঃ আজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ নবাব শরীফ। এর আগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তারা হলেন: মোঃ নাজমুল, লাবন হাসান দীপ ও শরিফুল ইসলাম। এদের মধ্যে বাপ্পী ও শরীফ উগ্রবাদী ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান র্যাব-৫ অধিনায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ অধিনায়ক আরো বলেন, ওই ঘটনায় রমজান ও নাজমুলসহ ৫-৭ জন সরাসরি জড়িত ছিলেন। এসময় বাপ্পী ও নবাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এরপর অন্যদের সঙ্গে তারাও পালিয়ে যান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা প্রদান করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় (মতিহার) হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও এঘটনায় জড়িত রমজানসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বুধবার (৯ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরীর বিনোদনপুর এলাকায় অবস্থিত এনআর ছাত্রাবাসে অবস্থারত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এনআর ছাত্রাবাসে নামাজ পড়া নিয়ে বিবাদ দেখা দেয়। ওই বিবাদের সমাধান করতে গিয়ে দুর্বত্তদের আক্রমণে গুরুত্বর আহত হন রাবির শিক্ষার্থী সাফফাত নায়েম নাফি। পরে তাকে আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এনিয়ে রাবি ক্যাম্পাসে বেশ উত্তাপ-উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিশ্বাবিদ্যালয়ের অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচী করে। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের আশ্বাসে বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।