০৬ মে ২০২৪, সোমবার, ০৫:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন


স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৩
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে


পণের দাবিতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে আস্মাতুল বিবি নামে ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের বাবার দাবি, পণের দাবি মেটাতে না পারায় মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছে স্বামী শেখ বাবুল সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খড়গপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁজোয়াল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার বাসিন্দা পেশায় দর্জি শেখ ইসমাইল বড় মেয়ে আস্মাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় খড়্গপুরের সাঁজোয়াল এলাকার পুলিশকর্মী শেখ বাবুলের। শেখ বাবুল ও আস্মাতুন বিবির একটি তিন বছরের ছেলেও রয়েছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে জামাই আমাদের কাছে বিভিন্ন কারণে টাকা চাইতো। টাকা না দিলে অত্যাচার করত মেয়ের উপরে। আমি অনেকবার এসে গন্ডগোল মিটিয়ে গেছি। হাতে কিছু টাকাও দিয়েছি। কিছুদিন আগে জামাই বাড়ি কেনার জন্য আমার কাছে ২৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু আমি দিতে পারিনি। গতকাল রাতে আমার মেয়ের সাথে আমার ফোনে কথা হচ্ছিল। তখনও মারামারি চলছিল। আমার জামাইসহ ওদের পরিবারের সবাই মিলে আমার মেয়েকে খুন করে বলছে মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। আমি রাতে খবর পেয়ে আজ ভোররাতে এখানে পৌঁছে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে। দেহ খড়গপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার মেয়েকে জামাইসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করেছে বলে খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযোগের ভিত্তিতে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ শেখ বাবুল নামে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে।

খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ বাবুল বলেন, ‘সামান্য একটা কথা কাটাকাটির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। একটা ফোন কিনে এনেছিলাম। সেই ফোনটা আমার স্ত্রী নেবে বলছিল। তাকে পরে একটা ফোনটি তার হাত থেকে নিয়ে নিই। এর পর দেখি সে বাথরুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। বাড়ি কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলাম একথা ঠিক। তবে চাপ দিইনি।