গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে কৃতজ্ঞতাবোধ করছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দারা। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন শুরু করেছে তার রেশ মাত্র নেই আরব বিশ্বে। কিন্তু কেন? এ নিয়েই ক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের।
সালাহ সুদাই নামের এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের চাপ, পুলিশি ধরপাকড় উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, সেটি সত্যিই সাধুবাদ জানানোর মতো। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে আমাদের নিয়ে এভাবে সোচ্চার সেখানে আরব বিশ্বের শিক্ষার্থীরা চুপ কেনো?
আয়াত আল নাজদী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি চার দফা বোমা হামলা থেকে বেঁচেছি। কিন্তু হামলায় আমাদের বাড়িঘর সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই আমাদের সমর্থনের জন্য। একই সাথে আরব বিশ্বের শিক্ষার্থীদেরও যুদ্ধ বন্ধের দাবি নিয়ে একইভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, মার্কিনিরা গণতান্ত্রিক জোড়ে, বাক স্বাধীনতার জোড়ে সরকারের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে যে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারছে, সে সাহস পাচ্ছে না আরব বিশ্বে সরকারের কঠোর আইনের মধ্যে বসবাসরত মানুষজন। কারণ হামাস ও ইরানি নীতির সঙ্গে সেসব দেশের সরকারের মতবিরোধ।
তারপরও আরব বিশ্বের কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের কাছে গাজা যুদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তেমনই একজন ইরাকি শিক্ষার্থী সেরিন।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানজুড়ে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভবিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানজুড়ে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
তিনি বলেন, আমরা মনে প্রাণে ফিলিস্তিনি এবং তাদের জন্য বিক্ষোভরত মার্কিন শিক্ষার্থীদের সমর্থন করি। আমরা গাজাবাসীর প্রতি যে অত্যাচার, অন্যায় অবিচার করা হচ্ছে তা কোনদিনই ভুলবো না। যথেষ্ট হয়েছে, আর কতো?
ইরাকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, মার্কিন শিক্ষার্থীরা গাজার সমর্থনে আগে বিক্ষোভ শুরু করায় লজ্জিত তারা।