কারও কোনও রোগ হলেই প্রথমে চিকিৎসকের কাছে যান। তারপর ডাক্তার যাই বলুক, তার পরামর্শ মতো কাজ করেন। রোগ যত গুরুতরই হোক না কেন, সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ থাকলে রোগী শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এর সঙ্গে লড়াই করে।
তবে কিছু মানুষ আছেন যারা ডাক্তারের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি বিশ্বাস করেন।
ছোটখাটো কোনও অসুখ হলে তা নিজে থেকেই সেরে যায়, কিন্তু ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা করানো হয়, আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজের চিকিৎসক মনে করে ফেলেছেন এক মহিলা। কোথায় তিনি তার পুনরুদ্ধারের আশা করেছিলেন এবং কোথায় এর বিরূপ প্রভাব এত মারাত্মক ছিল যে, তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান।
ব্রিটিশ নাগরিক ইরেনা স্টোয়নোভা নামের এক মহিলা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কেমোথেরাপির পরিবর্তে, তিনি ইনস্টাগ্রামে ডায়েট দেখে চিকিত্সা শুরু করেন। তিনি এই খাদ্য থেকে এতটাই প্রভাবিত হন যে, তিনি বিশ্বাস করেন শুধুমাত্র গাজরের রস তার ক্যান্সার নিরাময় করবে। তিনি নিজের জন্য একটি জুসার কিনে গাজরসহ বিভিন্ন ফল ও সবজির জুস তৈরি করে পান করতে থাকেন। এই পরিস্থিতির পরিণতি এতটাই ভয়ানক ছিল যে মহিলাটি প্রায় প্রাণ হারাতে বসেন।
৩৮ বছর বয়সী ইরেনা দিনে প্রায় ১৩ কাপ গাজরের রস পান করতেন। প্রথমে এটি তার কাছে ভালো মনে হলেও ধীরে ধীরে তিনি দুর্বল বোধ করতে শুরু করেন। তিনি ভালো হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোথায় তিনি নিজে ক্ষুধার্ত থেকে ক্যান্সার নির্মূল করছিলেন আর কোথায় এমন একটি পরিস্থিতি আসে যে, মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল কারণ তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এ সময় তাঁর তলপেট, পা ও ফুসফুসে শুধু তরল ভরা ছিল। চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করলেই তাঁর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
অতএব বুঝতেই পারছেন সোশ্যাল মিডিয়া দেখে অসুখ সারাতে গিয়ে কীভাবে বিপাকে পড়েন ওই মহিলা। তাই শারীরিক যে কোনও সমস্যা বড় হোক বা ছোটখাটো- অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।