নওগাঁর সাপাহারে বিভিন্ন দাবীতে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছে ওষধ ব্যবসায়ীরা।
নওগাঁয় ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, নওগাঁ জেলা শাখার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা প্রতীকী ধর্মঘট পালিত হচ্ছে জেলাজুড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৫ মে) সকাল থেকে সাপাহার উপজেলার ৪৪০টি ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
নওগাঁয় ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক রাসেদ মেডিকেল স্টোরের মালিক রাসেদুল ইসলাম এবং ইমতিয়াজ মেডিকেল স্টোরের মালিক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার, ঔষধ বিপনন আইন ২০২৩ বাতিল, ঔষধ পরিদর্শক মোঃ তোফায়েল আহম্মেদকে প্রত্যাহার, অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট সরবরাহকারী এবং অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট যারা লেখেন তাদের আইনের আওতায় ানার দাবীতে ওইদিন বেলা ১১ টায় ওষধের দোকান বন্ধ রেখে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, সাপাহার শাখা। এতে বক্তব্য রাখেন, সাপাহার উপজেলার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাদল ও সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৪০ সালের ঔষধ বিপনন আইনের সংশোধনী ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী দেশের সকল ঔষধ ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসছিলো। যাতে করে ঔধষ ব্যবসায় ওই আইনের ব্যতয় ঘটলে ৩-৪ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড করা হতো। বর্তমানে ২০২৩ সালের সংশোধনী আইনে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থ দণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। সম্প্রীতি নওগাঁয় রাসেদ মেডিকেল স্টোরের মালিক রাসেদুল ইসলাম এবং ইমজিয়াজ মেডিকেল স্টোরের মালিক আবুল কালাম আজাদকে উক্ত আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অনতিবিনম্বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার সহ ওষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাবী মানা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান বক্তারা।#