৭২০ জনের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছেন আন্দ্রেয়া সানশাইন। দিনে ১২ বার হস্তমৈথুন করেন তিনি। পঞ্চাশ বসন্ত পেরিয়ে এসেও চনমনে আন্দ্রেয়া সানশাইন। এই মডেলের গ্ল্যামার তাক লাগিয়ে দেয়। পঞ্চাশেও টানটান ত্বক, বলিরেখা ছুঁতে পারেনি তাঁকে। আর এসবের রহস্যই নাকি অনন্ত যৌনসুখ। হস্তমৈথুনই তাঁর উজ্জ্বল, পেলব ত্বকের রহস্য। যৌনতৃপ্তিই তাঁর যৌবন ধরে রাখার সিক্রেট।

আন্দ্রেয়া সানশাইনকে চেনেন অনেকেই। পেশিবহুল চেহারা। মডেলিং এবং গ্ল্যামার দুনিয়ার পরিচিত নাম। ১৮ বছর আগে ডিভোর্স হয়েছে। তবে তাতে যৌনসুখে ভাটা পড়েনি। আন্দ্রেয়া নিজেই বলেছেন, সাতশোর বেশি পুরুষের শয্য়াসঙ্গিনী হয়েছেন। নিয়মতি হস্তমৈথুন করেন। তাও দিনে ১২ বার। এই যৌনতৃপ্তিই তাঁকে সতেজ ও সুন্দরী রেখেছে আজ অবধি।

আন্দ্রেয়াকে দেখলে মনেই হবে না তাঁর বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। বিকিনি, স্যুইমস্যুট কিংবা শর্ট ড্রেসে অনুরাগীদের মনে আগুন ধরান তিনি। নিজের যৌন জীবন নিয়েও একেবারেই খোলামেলা কথা বলতে ভালবাসেন। আন্দ্রেয়ার দাবি, প্রতিবার হস্তমৈথুনের পরে তাঁর ত্বকে যে উজ্জ্বলতা দেখা যায় তা যে কোনও কৃত্রিম মেকআপের থেকেও বেশি। মেকআপ বাইরে থেকে ত্বককে ঝকঝকে দেখায়, কিন্তু যৌনতৃপ্তি নাকি ভেতর থেকেই ত্বককে সজীব ও আকর্ষণীয় করে তোলে। সঙ্গমের থেকেও হস্তমৈথুনে নাকি বেশি তৃপ্তি আসে তাঁর।

আধুনিক সময় নারীর স্বমেহন বা হস্তমৈথুন নিয়ে নানা ট্যাবু আছে সমাজে। অনেকেই মনে করেন হস্তমৈথুন করলে শরীরের ক্ষতি হয়। পাপ-পুণ্যের দাঁড়িপাল্লাতেও মেপে দেওয়া হয় এই জৈবিক ক্রিয়াকে। সেক্স হিস্টোরিয়ান হ্যালি লিয়েবারমেন তাঁর লেখা বই ‘বাজ়: এ স্টিমুলেটিং হিস্ট্রি অব দ্য সেক্স টয়’-তে আত্মরতির গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। লিয়েবারমেন বিস্তর গবেষণা করেছেন আত্মরতি ও তার ইতিহাস নিয়ে। প্রাচীন গ্রিস, মিশর, চিনে হস্তমৈথুনকে শারীরিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ বলেই মনে করা হত। যদিও এই ভাবনাকে স্বাধীনতা দিতে নানা বাধা-বিপত্তি, যুক্তি-তর্কের পাহাড় ডিঙোতে হয়েছে। আধুনিক সময় এসেও নিজের মুখে হস্তমৈথুনের কথা বলতে সংকোচবোধ করেন অনেক মহিলাই। কোথাও যেন একটা অপরাধবোধের লক্ষণরেখা টানা আছে এখনও। তাকে পার হতে ভয় পান অনেকেই। তবে আন্দ্রেয়া অকপট। কোনও রাখঢাক না করেই নিজের যৌন জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। আর শুধু তাই নয়, হস্তমৈথুনের সঙ্গে যে সৌন্দর্যের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে তার ব্যাখ্যা করে অনুরাগীদের চমকেও দিয়েছেন। হস্তমৈথুনের সঙ্গে সৌন্দর্যের সম্পর্কের কোনও মান্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও মডেলের সাহসিকতার প্রশংসা করছেন সকলেই।