২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৩:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন


আন্দোলন থামাতে আমেরিকান পুলিশি স্টাইল ব্যবহার করি, কেমন হবে: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৫-২০২৪
আন্দোলন থামাতে আমেরিকান পুলিশি স্টাইল ব্যবহার করি, কেমন হবে: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর ছবি: সংগৃহীত


কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা যদি আন্দোলন থামাতে আমেরিকান পুলিশি স্টাইল ব্যবহার করি এবং পুলিশকে যদি বলি, তাহলে কেমন হবে?’

বৃহস্পতিবার (২ মে) থাইল্যান্ড সফরের পর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অবশ্য আমার মনে হয়, আমাদের একটু নতুন পথ নিয়ে নেওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমরা যদি আমাদের পুলিশকে বলে দেই, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা অনুসরণ করতে পারে। সেটা করতে পারি। আমার মনে হয়, আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশকে অনুসরণ করতে। কারণ আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। সেই ২৮ অক্টোবর ২০২৩ সালে আমি তো পুলিশকে বলেছিলাম ধৈর্য ধরতে। ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরেছে। সেই সাথে তাদের হাসপাতালে আক্রমণ, গাড়ি পোড়ানো। কাজেই আমার মনে হয়, এখন আমাদের পুলিশ কিন্তু আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা নিতে পারে। আমার মনে হয়, সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে আমাকে সমর্থন করবেন।'

বাংলাদেশি হত্যার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'প্রতিবাদ শুধু এখানেই না, আমেরিকায় বসেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।'

এসময় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ উৎখাত করলে ক্ষমতায় কে আসবে এমন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পরবরর্তীতে কে আসবে সেটা কি ঠিক করতে পেরেছেন? কে দেশের জন্য কাজ করবে? সেববের কিছুই স্পষ্ট না। সেসব স্পষ্ট না বলেই তারা (বিরোধী পক্ষরা) আন্দোলনে জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।’

দেশের অতি বাম, অতি ডান- সবই এখন এক হয়ে সরকারকে উৎখাত করতে চাচ্ছে- গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। 

এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে তিনি ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানান, সফরকালে তিনি গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

শেখ হাসিনা জানান, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।