২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:৫৭:০১ পূর্বাহ্ন


গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও গর্ভবতী হন মহিলারা
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৩-২০২৪
গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও গর্ভবতী হন মহিলারা ছবি: সংগৃহীত


এই গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবু প্রতিবছরই গর্ভবতী হচ্ছেন কোন না কোন মহিলা। কিন্তু কিভাবে? এই গ্রামে নাকি চলে শুধুমাত্র মহিলাদের রাজ! কোথায় আছে এমন জায়গা? জানুন এই আজব গ্রামের কাহিনী।

কোন পুরুষের দেখা মেলে না এই গ্রামে। তবুও ইচ্ছেমত গর্ভবতী হন মহিলারা। বছরের পর বছর ধরে মহিলা রাজত্বই চলছে এই গ্রামে। পুরুষের অবাধ আনাগোনা একেবারেই নিষিদ্ধ এই গ্রামে। পুরুষ জাতি চাইলেও নিজেদের অধিকার ফলানোর যো নেই এগ্রামে। অধিকার ফলাতে গেলেই পড়বেন মহা বিপদে। অধিকার ফলালে মহিলা শাসনতন্ত্রের হাতে পেতে হবে কঠোর শাস্তি। সেই ভয়ে কোন পুরুষই আর অধিকার ফলানোর চেষ্টাও করেন না।

এ এক অদ্ভুত গ্রাম, যার রীতিনীতি সবটাই অন্য সব সমাজব্যবস্থা থেকে বহু গুণই আলাদা। কোন পুরুষের প্রবেশ এই গ্রামে নেই। কারণ মহিলারা নিজেরাই ব্যবস্থা ক'রে পুরুষের এই গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু পুরুষ প্রবেশ না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের মতো করেই জীবন ধারণ করছেন মহিলারা। তারা প্রতিবছর কেউ না কেউ সন্তানের জন্মও দিচ্ছেন। এভাবেই বংশবৃদ্ধিও হচ্ছে সাধারণ নিয়মেই। সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অদ্ভুত গ্রামের রীতিনীতি আজও বিস্ময় জাগায়।

কেনিয়ার ট্র্যামবুরু এলাকার উনোজা এক আশ্চর্য গ্রাম, যে গ্রামে ৩০ বছর হয়ে গেল শুধু মহিলারাই থাকেন। ৩০ বছর ধরে কোন পুরুষের পদচিহ্ন পড়েনি এই গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। যখন ১৫ জন স্থানীয় আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সেই মহিলারা সমাজ বিচ্যুত হয়ে এই গ্রামে এসে বসতি গড়ে তোলেন। তারপর থেকে এখানে পুরুষদের হিংসার শিকার হওয়া বিভিন্ন মহিলারা এসে একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন। কেউ হয়তো ধর্ষণের শিকার, কেউ বাল্যবিবাহের শিকার, কেউবা গৃহস্থ হিংসার শিকার। তারা সকলেই হাতে হাত মিলিয়ে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। যে সমাজ শুধু মহিলাদের। সেখানে পুরুষদের কোনরকম প্রবেশাধিকার নেই। বর্তমানে এই গ্রামে প্রায় ২৫০ জন মহিলা বসবাস করেন। তাহলে এখানে প্রশ্ন ওঠে যে, এই গ্রামের মহিলারা কি করে সন্তানের জন্ম দেন?

জানা যায়, এই গ্রামের মহিলারা গ্রাম থেকে বেরিয়ে নিজেদের পছন্দমতো পুরুষকে খুঁজে নেন। তারপর পছন্দের পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন। এরপর তারা স্বাভাবিক নিয়মেই যথাসময়ে গর্ভধারণ করেন। এবং সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। এখানে কোনরকম কোন সম্পর্ক বিবাহ দ্বারা আবদ্ধ থাকে না। কেবল সন্তান উত্‍পাদনের জন্য এবং যৌন সুখ উপভোগের জন্য মহিলারা পুরুষ সঙ্গীকে বেছে নেন।

এই গ্রামে রয়েছে প্রাইমারি স্কুল। রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও। গ্রামে দর্শনীয় স্থান রয়েছে একাধিক। সেগুলি দেখতেও আসেন পর্যটকেরা। এ যেন এক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে নারীদের আদর্শ উদাহরণ। পুরুষহীন এক সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছেন নারীরা, যেখানে কেবলমাত্র আছেন নারী। আর তাদের কামনা-বাসনা ইচ্ছাই একমাত্র বিষয়।