২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৭:০২:১১ পূর্বাহ্ন


মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হামলায় দুই সিআরপিএফ জওয়ান নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৪
মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হামলায় দুই সিআরপিএফ জওয়ান নিহত মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হামলায় দুই সিআরপিএফ জওয়ান নিহত


বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনা জঙ্গিদের হামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চার জন। নতুন করে হামলা শুরু হতেই মণিপুর জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরে নতুন করে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সোয়া ২টায় কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়। তাদের নিশানা ছিল ফাঁড়ি লাগোয়া ব্যারাকটি। সেখানে ছিলেন সিআরপিএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। গভীর রাতের অতর্কিত জঙ্গি হামলায় আহত হন তাঁরা। এর আগে গত ডিসেম্বরে মোরেকে ফাঁড়িতে একই কায়দায় ভোররাতে হামলা চালিয়েছিল কুকি জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিংসাদীর্ণ আউটার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোট ছিল।

চলতি মাসের গোড়া থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জন জঙ্গি নিহতও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সহায়তায় কেএনএফ জঙ্গিরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।