০৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ১০:১৪:২০ পূর্বাহ্ন


কখনও তারা পিবিআই, কখনও সাংবাদিক
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৭-২০২৩
কখনও তারা পিবিআই, কখনও সাংবাদিক কখনও তারা পিবিআই, কখনও সাংবাদিক


সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ, পিবিআই ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ডাকাতি এবং প্রতারণা করার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পিবিআই এর সদস্যরা।

সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পিবিআই'র পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রেজাউল করিম।

গ্রেপ্তার ডাকাত চক্রের সদস্যরা হলেন-সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহীম ওরফে মোন্নাফ (২৫), পৌর এলাকার সাহেদনগর বেপারীপাড়া মহল্লার আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯), ছোনগাছা দক্ষিণ পাড়ার লুৎফর চৌধুরীর ছেলে ইকবাল চৌধুরী ওরফে বাবু (৫২), দত্তবাড়ী গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে সাগর আলী শহিদুল (৪০), চিলগাছা গ্রামের মৃত নরুল ইসলামের ছেলে বাবু মিয়া (৩২) ও পশ্চিম দত্তবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন (৩৭)।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১ জানুয়ারি গভীর রাতে সদর উপজেলার খোড়ারগাঁতী গ্রামের কৃষক আমজাদ শেখের বাড়িতে ওই ৬ জন মুখে মাফলার পেঁচিয়ে প্রবেশ করেন। এদের মধ্যে একজন নিজেকে পিবিআই’র এসআই পরিচয় দেন ও বাকিরা সদস্য পরিচয় দেন। এ সময় কৃষককে মাদক কারবারি উল্লেখ করে ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যান।

এরপর গত ১৫ জানুয়ারি সকালে ওই প্রতারকচক্র একইভাবে কৃষক আমজাদের বাসার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন বাধা দিলে তারা নিজেদের পিবিআই সদস্য পরিচয় দেয় এবং খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখায়। এরপর ঘরে ঢুকে স্টিলের বাক্সের তালা ভেঙে নগদ ১১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের মনোগ্রাম যুক্ত একটি কাগজে মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে যান। এ ঘটনায় আমজাদ শেখ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমের দিক নির্দেশনায় এস.আই ইমরান হোসাইন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এসব ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। বিভিন্ন সময় তারা পুলিশ, পিবিআই পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোককে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে টাকা আদায় করত। তারা ইতোপূর্বে পিবিআই পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে সদর উপজেলার বালিঘুঘরি গ্রামের আনন্দ ও চিলগাছা গ্রামের ফরিদের বাড়িতেও ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে বলে স্বীকার করেন।