বিশ্বে প্রায় ৩০০০ প্রজাতির সাপ আছে। আন্টার্কটিকা বাদে বিশ্বের সর্বত্রই সাপের দেখা মেলে। সাপের খাদ্য তালিকায় থাকে ইঁদুর, পাখি, ব্যাঙ, বড় সাপ ছোট হরিণ, শূকর, বাঁদর। নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই সাপ আক্রমণও করে।
আমাদের দেশে সাপ নিয়ে নানা ধরণের গল্প, আপাতদৃষ্টিতে অদ্ভূত ধারণা, কুসংস্কারের যেমন অভাব নেই। ঠিক তেমনই ভারতীয় উপমহাদেশে সাপ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহেরও অভাব কোনওরকম অভাব নেই। সাপ দেখে আতঙ্কিত হন না এমন মানুষের সংখ্যাও হাতে গোনা।
আমরা বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ‘সাপ বদলা নেয়’ এ বিষয় দেখে থাকি। সিনেমায় দেখানো হয় যে সাপ নিজের শত্রুদের মনে রাখে, শত্রু নিধনের পরেই তার পিছু ছাড়ে সাপ৷ পৌরাণিক গ্রন্থ বা লোকোমুখে আমরা প্রায়শই সাপের প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে শুনে থাকি ৷
কিন্তু সাপ কি সত্যিই নিজের সঙ্গীকে হত্যা করলে সাপ প্রতিশোধ নেয়। সাপের স্মৃতি শক্তি কি এতটাই প্রখর যে শত্রুকে মনে রেখে পরে তার বদলা নিতে পারে। নানা সিনেমা দেখে বা পৌরানিক গল্প থেকে অনেকরই ধারণা সাপ প্রতিশোধ নেয়।
কিন্তু বিজ্ঞান সে কথা বলছে না। বিজ্ঞান এটাকে সম্পূর্ণ গুজব বা ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করে। সাপের সাধারণত কোনো ধরণের সামাজিক বা পারিবারিক বন্ধন থাকে না। এমনকি আলাদাভাবে কোনো হত্যাকারীকে চেনার মতো স্মৃতিও থাকে না সাপের।
একটি সাপের মৃত্যুর গুরুত্ব একটি সাপ আলাদা করে বুঝতে পারে না।আর মানুষ সাপের স্বাভাবিক খাদ্য না হওয়ায় মানুষকে হত্যা করার জন্য সাপ কখনো আলাদাভাবে আক্রমণ করে না। ফলে সাপের প্রতিশোধ নেওয়াটা শুধুই মিথ।