রাস্তা থেকে কুকুরকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে গোপাল দাস নামের এক ব্যক্তি । এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির ফকদই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পশু ধর্ষক গোপাল দাস পেশায় তিনি সোফা তৈরির মিস্ত্রি। এলাকায় স্বল্পভাষী ও ভাল মানুষ বলেই সবাই জানে। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই অবলা জীবকে ধর্ষণ অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও আছেন বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গোপাল দাসের পরিবারের বাকি সদস্যরা কালীপুজো উপলক্ষে অন্যত্র গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে রাস্তার একটি কুকুরকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন গোপাল দাস। কুকুরটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশী গোপাল ভৌমিক, রীতা দাস-সহ কয়েকজন প্রতিবেশী ছুটে এসে দেখেন কুকুরের সঙ্গে জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন গোপাল দাস।
এই দৃশ্য দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন।এ সময় গোপাল দাস এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন। কুকুরটির শারীরিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এলাকাবাসীরা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় খবর দেন ৷ তারা এসে রাস্তার কুরটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এদিকে এলাকার মানুষ গোপাল দাসের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, অবলা প্রাণীদের সাথে সঙ্গম এই প্রথম নয়। এর আগেও সে ছাগল , ভেড়া, গরুর সঙ্গে সঙ্গম করেছে।
অভিযুক্ত গোপাল দাসের এমন স্বভাবের জন্য পারিবারে অশান্তি হয় বলেও জানা গেছে। বেশ কয়েকছর আগে এই কারনেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহ বাঁধে। এলাকাবাসীদের হস্তক্ষেপে তা মিটে গেলেও সেইসময় ঝামেলার আসল কারন জানা যায়নি। যা এবার পরিস্কার হয়েছে এলাকাবাসীর কাছে। প্রতিবেশীরা গোপাল দাসের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
