রাজশাহী নগরীর পবা এলাকা থেকে অপহরনের পর মুক্তিপণ দাবীকারী চক্রের মূলহোতা-সহ ৩ জন গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। এ সময় অপহৃত কিশোর মোঃ জুবায়ের আহম্মেদকে (১৫), উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিনগত রাত সোয়া ২টায় নগরীর পবা থানাধীন তেঘর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: মোঃ রশিদুল ইসলাম (মূলহোতা) (৪১), সে নগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকার মোঃ বরজাহান আলীর ছেলে, তার সহযোগী মোঃ কাওছার আলী (৩২), সে পবা থানার তেঘর এলাকার মোঃ কলিম উদ্দিনের ছেলে ও মোঃ মেফতাহুল ইসলাম কিরন (৪২), সে একই থানার নওহাটা পৌরসভার দক্ষিণ দুয়ারী পাড়া এলাকার মৃত মহসীন আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় আসামী মোঃ আব্দুর রশিদ চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন কেদারগঞ্জ পাড়া থেকে মোঃ জুবায়ের আহম্মেদ সীমান্তকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ৩/৪ জন আসামী মিলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত কিশোরের মেজো ভাই মোঃ ফারুক আহমেদ অন্তরকে অপহরণকারী মোঃ রশিদুল ইসলাম মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বলে, সন্ধ্যার মধ্যে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না হলে তার ভাই সিমান্তকে গুম করে দিবে।
এ ঘটনায় অপহৃত কিশোরের ভাই মোঃ ফারুক আহমেদ অন্তর বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৩/৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আইনে একটি অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর র্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় অপহৃত কিশোর সিমান্তকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী ৩জনকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাসে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে, তারা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কিশোর সিমান্তকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করেছিলো এবং টাকা না দিলে ভারতে পাচারের হুমকি দিয়েছিলো।
এ ব্যপারে বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামীদের পবা থানার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।