নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে সেই সময় গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের জীবনে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আঘাত বলে মন্তব্য করে সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৭ জুন) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, সেই সময় গ্যাসের ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আঘাত করল। রান্নার জন্য ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, সার কারখানার ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, সেই সঙ্গে প্রতি ঘন মিটার ১০ পয়সা ডিমান্ড চার্জ সংযুক্ত করে একদিকে মানুষের দৈনিন্দন জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি, অন্যদিকে কৃষি, শিল্প ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য আরও বাড়বে। কোনোমতেই জনগণের পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের মূল্যে ফিরে যাওয়ার দাবি জানান তিনি।
গত ৫ জুন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইপলাইনে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের পাইকারি দাম ৯টা ৭০ পয়সা থেকে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯১ পয়সা করেছে, যা চলতি জুন মাস থেকেই কাযর্কর হবে।
খুচরা পর্যায়ে সেই মূল্য সমন্বয় করে যানবাহনে ব্যবহারের সিএনজি বাদে সব পর্যায়েই গ্যাসের জন্য খরচ বাড়বে।
রান্নার গ্যাসের জন্য দুই চুলার মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৮০ টাকা। এক চুলার মাসিক বিল ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করা হয়েছে।