০৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ০৮:৩২:৩২ অপরাহ্ন


ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার শঙ্কা, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৪
ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার শঙ্কা, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত


ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইসরায়েল কি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে গিয়ে তেহরানের তেল স্থাপনায় আক্রমণ চালাবে?জবাবে বাইডেন বলেছেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।

আমি মনে করি, এটা (হামলা) সীমিত আকারে হতে পারে।"বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের অবস্থান স্পষ্ট হয়নি। তবে এর আগে বাইডেন বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা তিনি সমর্থন করবেন না।

কিন্তু বাইডেনের এই মন্তব্যের পরই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। মঙ্গলবার ইসরায়েলে ইরানের বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বর্তমানে আরও ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে।এদিকে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এ হামলার জন্য ইরানকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।ইরানের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশান হত্যাকাণ্ডের জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলকে ইরানে হামলা চালাতে দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কী পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, "প্রথমত, আমরা ইসরায়েলকে অনুমতি দিই না, তবে আমরা ইসরায়েলকে পরামর্শ দিচ্ছি।"এর আগে বাইডেন বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে বুধবার সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, "ইসরায়েলিরা কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব, তবে আমাদের (জি৭ দেশগুলোর প্রধানরা) সবাই একমত যে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাদের সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।"

এর আগে বাইডেন জি৭ দেশগুলোর (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য) সরকার প্রধানদের সঙ্গে ইসরায়েল-ইরান সংকট ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন।মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলের সঙ্গে যে তিনটি দেশের সামরিক বাহিনী কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অন্যতম। অপর দু'টি দেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছে, এ হামলার ফলাফল তাদের ভোগ করতে হবে। কিন্তু ওয়াশিংটন এক্ষেত্রে কূটনীতিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রথমে ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এরপর ইরান পাল্টা হামলা চালালে ইসরাইল তাদের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাবে।বুধবার ইরানের চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, প্রতিশোধ নিলে তারা ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামোতে আঘাত হানবে।