২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:৫৯:১৭ পূর্বাহ্ন


তিন বছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলে বন্ধ হয়েছে ২৩ ট্রেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১০-২০২৪
তিন বছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলে বন্ধ হয়েছে ২৩ ট্রেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ ছবি-সংগৃহীত


চালু হচ্ছে, হবে বলে বলে এক বছেরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে উত্তরা এক্সপ্রেস। শুধু এক্সপ্রেসই নয়, গেল তিন বছরে ২৩টি ট্রেন বন্ধ করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে এসব ট্রেনে যাতায়াতকারী হাজারও যাত্রী পোহাচ্ছেন সিমাহীন দুর্ভোগ।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা সংকটের কারণে ট্রেনগুলো বন্ধ রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে যাত্রী খাতে অতিরিক্ত লোকসান, ক্রু, গার্ড, ইঞ্জিন, কোচ সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এসব ট্রেন বন্ধ রাখা হয়।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময় বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কারণে গত ১৫ আগস্ট থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস।

এছাড়া যাত্রী খাতে আয় কম হওয়ার কারণে চন্দনা/ভাঙ্গা কমিউটার ও উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং নাশকতা এড়াতে ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটের লোকাল-৫৬৩/৫৬৪ বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে ট্রেনের কোচ, ইঞ্জিন ও ক্রু এর অভাবে লোকাল-৫১৫, লোকাল-৫১১/৫১২, লোকাল-৫৪১/৫৪২, লোকাল-৫৯১/৫৯২, লোকাল-৪১১/৪১২, লোকাল-৪৫৩/৪৫৪, লোকাল-৪৩১/৪৩৪, লোকাল-৪৮১/৪৮২, লোকাল-৪১৫/৪১৬/৪২১/৪২২, মিশ্র-৪৫১/৪৫২, মিশ্র-৪৩২/৪৩৩, মিশ্র-৪১৩/৪১৪, উত্তরবঙ্গ মেইল ও পার্বতীপুর কমিউটার বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া আন্ডার রিপিয়ার থাকার কারণে রংপুর কমিউটার ও পঞ্চগড় কমিউটার বন্ধ রাখা হয়েছে।

ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী, স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। যাত্রীর চাপ বেড়েছে অন্য লোকাল ও কমিউটার ট্রেনগুলোতে। ফলে দাঁড়িয়ে যাত্রা করা যাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতে করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতেও বাড়ছে যাত্রীর ভিড়। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে গন্তব্যে যাত্রা করছেন বিকল্প উপায়ে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে কথা হয় আব্দুল কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, উত্তর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে। এই ট্রেনটি নিম্ন আয়ের এবং শ্রমিক মানুষদের অল্প খরচে যাতায়াতের একমাত্র যানবাহন ছিল। কিন্তু ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার ফলে বিকল্পভাবে মানুষকে বাস বা অন্য যানবাহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি অনেক বেড়েছে।

রেল পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অনেক দিন থেকেই ট্রেনগুলো বন্ধ আছে। ইঞ্জিন ও লোকমেটিভ (ট্রেন চালকের) সংকটের কারণে এগুলো বন্ধ আছে। মূলত রেলওয়ের প্রধান অফিস থেকে এগুলোর পরিসংখ্যান চেয়েছে। সে জন্যই এগুলোর তালিকা পাঠানো হয়েছে। আমরাও চাই বন্ধ ট্রেনগুলো চালু হোক।

এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ের জিএম আব্দুল আওয়াল ভুঁইয়া বলেন, বন্ধ স্টেশন ও ট্রেনের নির্দিষ্ট তথ্য এখন মনে নেই। তবে বন্ধ বেশ কয়েকটি স্টেশন চালু হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের লোকবলের সংকট আছে। আর ট্রেন কিছু বন্ধ হলেও নতুন ট্রেনও কিন্তু আমরা চালু করেছি।