২৩ জুন ২০২৪, রবিবার, ০৯:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন


হজের পাঁচ দিনের ধারাবাহিক কার্যাবলি
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২৪
হজের পাঁচ দিনের ধারাবাহিক কার্যাবলি ছবি: সংগৃহীত


হজের উদ্দেশ্যে যারা মক্কায় গিয়েছেন আজ (সৌদি আরবে আজ ৮ জিলহজ) থেকে তাদের হজের মূল কার্যক্রম শুরু হবে যা চলবে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত এই পাঁচ দিনকে হজের দিন বলা হয়। আমরা এখানে হজের পাঁচ দিনের কার্যক্রম; কোন তারিখে কীভাবে হজের কাজগুলো সম্পন্ন করবেন তা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করছি

৮ জিলহজ: কাবা শরিফে ৭ জিলহজ হজের নিয়মাবলির ওপর খুতবা দেওয়া হয় তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তারপর আপনি যদি ইফরাদ বা তামাত্তু হজ পালনকারী হয়ে থাকেন, তাহলে হারাম শরিফ বা বাসা থেকে শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বে মিনায় পৌঁছে যান। কিরান হজ পালনকারী ইহরাম অবস্থায়ই থাকবেন, তিনি সে অবস্থায় মিনায় চলে যাবেন।

৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করুন এবং সেখানে অবস্থান করুন।

৯ জিলহজ: হজের অন্যতম রোকন বা ফরজ হলো আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। ৯ জিলহজ সকালে মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফায় যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে গোসল করে একবার তাকবিরে তাশরিক পাঠ করুন, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার; ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

জোহরের নামাজের আগেই আরাফায় উপস্থিত হবেন। দুপুরের পর থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শুনুন। নিজ নিজ তাবুতে জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করুন। সুর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হোন।

আরাফার ময়দান থেকে সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় গিয়ে ইশার সময় মাগরিব ও ইশা এক আজানে ও একই ইক্বামাতে একসঙ্গে আদায় করুন।

১৩ জিলহজ আসর নামাজ পর্যন্ত প্রত্যেক নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক আদায় করুন।

মুজদালিফায় রাতযাপন করা সুন্নত। ফজরের নামাজের পর থেকে সুর্য ওঠার আগ পর্যন্ত কিছু সময় অবস্থান করা ওয়াজিব। তাই ফজরের আগে মুজদালিফা ত্যাগ করা যাবে না। ফজরের পর সুর্য ওঠার আগেই মুজদালিফা থেকে মিনার উদ্দেশে রওয়ানা হতে হবে।

মিনায় আসার পথে নিক্ষেপের জন্য ৭০টি ছোট ছোট কংকর সংগ্রহ করুন।

১০ জিলহজ: ১০ জিলহজ ফজর নামাজ মুজদালিফায় আদায় করে সূর্য ওঠার আগে মিনায় এসে বড় জামরায় ৭টি কংকর নিক্ষেপ করুন। দিনে সম্ভব না হলে রাতের শেষ পর্যন্ত সময়ে কংকর নিক্ষেপ করুন। কংকর নিক্ষেপের জায়গায় বাংলায় দিক-নির্দেশনা দেয়া হয় তা মনোযোগ সহকারে শুনুন।

বড় শয়তানকে পাথর মেরে কোরবানি করুন। কোরবানি সম্পন্ন করার পর মাথা মুণ্ডন করুন বা চুল ছাটুন, নারীরা এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটুন। চুল কাটার পর স্ত্রী সঙ্গম ছাড়া যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

১০ জিলহজ বড় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন- এ তিন কাজের মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি।

১১ ‍জিলহজ: ১১ জিলহজ জোহরের পর থেকে তিনটি জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। কোরবানি ও তাওয়াফে জিয়ারত বাকি থাকলে তাও করে নিতে হবে।

১২ জিলহজ: কোরবানি বা তাওয়াফে জিয়ারত বাকি থাকলে ১২ জিলহজ সুর্যাস্তের আগেই কোরবানি ও তাওয়াফে জিয়ারত সম্পন্ন করতে হবে। ১৩ জিলহজ মিনায় না থাকতে চাইলে সুর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করা উত্তম। ১৩ জিলহজ সূর্যোদয়ের পরও মিনায় অবস্থান করলে ফেরার আগে প্রত্যেক জামারাতে ৭টি করে কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।