০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৫:২৫:১৮ অপরাহ্ন


মুমিনের ভালোবাসাও ইবাদত
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০২-২০২৪
মুমিনের ভালোবাসাও ইবাদত ছবি: সংগৃহীত


দাম্পত্য সম্পর্ক, জীবনসঙ্গী আল্লাহর বিশেষ দান। দুনিয়ার জীবনে মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দান করতে আল্লাহ সঙ্গী ও দাম্পত্য সৃষ্টি করেছেন। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা তার এ দানের কথা বলেছেন। এটাকে তার বিশেষ নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছন। আল্লাহ বলেন,

وَمِنۡ اٰیٰتِهٖۤ اَنۡ خَلَقَ لَکُمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ اَزۡوَاجًا لِّتَسۡکُنُوۡۤا اِلَیۡهَا وَ جَعَلَ بَیۡنَکُمۡ مَّوَدَّۃً وَّ رَحۡمَۃً اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই সঙ্গীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রুম: ২১)

সুরা নাবার শুরুতে আল্লাহ তাআলা তার অনেক নেয়ামতের সাথে মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করাকেও একটি নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন,

وَخَلَقْناكُمْ أَزْواجاً

এবং আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায় (সুরা নাবা: ৮)

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, উত্তম আচরণ ও ইহসান দুনিয়াতে যেমন তাদের শান্তি, স্বস্তি, সুখ ও আনন্দের কারণ হয়, এটা একইসাথে আল্লাহর ইবাদত ও নেক আমলও বটে, এর প্রতিদানও আল্লাহর কাছে পাওয়া যাবে। স্ত্রীর প্রতি সুন্দর আচরণ করার নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

أكْملُ المؤمنينَ إيمانًا أحسنُهُم خلقًا، وخيارُكُم خيارُكُم لنسائِهِم

মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝে যার চরিত্র সুন্দরতম। তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। (সুনানে তিরমিজি)

স্ত্রীকে আল্লাহর আমানত উল্লেখ করে তার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন,

اتَّقوا اللهَ في النساءِ؛ فإنَّكم أخذتُموهنَّ بأمانةِ الله، واستحلَلْتُم فروجَهنَّ بكلمةِ الله

নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো তাদেরকে তোমরা আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছো, আল্লাহর কালিমার মাধ্যমে তাদের সাথে সহবাস বৈধ করেছ। (তাবারী ফিত-তাফসীর)

স্বামীর সন্তুষ্টির গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

أيما امرأةٍ ماتت وزوجها عنها راضٍ دخلت الجنة

যে কোনো নারী যদি এমন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে যে তার স্বামী তার ওপর সন্তুষ্ট, তাহলে সে জান্নাতি হবে। (সুনানে তিরমিজি)

আরও বহু আয়াত ও হাদিসে স্বামী ও স্ত্রীর প্রতি এ রকম নির্দেশনা বর্ণিত হয়েছে। তাই জীবনসঙ্গীকে সুখী ও খুশি রাখার চেষ্টা করলে দুনিয়ার জীবনে যেমন সফল ও সুখী হওয়া সহজ হয়ে যাবে, আখেরাতে আল্লাহর কাছেও এর প্রতিদান পাওয়া যাবে।