আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যপ্রাপ্ত ফিরিশতাদের একটি বিশেষ দল আছে যারা আল্লাহর আরশ তুলে ধরে আছেন। আরশ বহনকারী ফিরিশতার সংখ্যা হলো চারজন। কিন্তু কিয়ামতের দিন তাঁদের সংখ্যা হবে আট।
এই ফেরেশতাদের অন্যতম একটি কাজ হলো, এরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর প্রশংসা করেন।
অর্থাৎ, তাঁকে সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন, তাঁর পরিপূর্ণতা ও গুণাবলীকে তাঁর জন্য সাব্যস্ত করেন এবং তাঁর সামনে অসহায়তা ও বিনয় (অর্থাৎ ঈমান) প্রকাশ করেন।
তাদের দ্বিতীয় কাজ হলো, তারা ঈমানদারদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারা মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রাথনা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত চেয়ে যে দোয়া করেন তা এখানে তুলে ধরা হলো—
رَبَّنَا وَسِعۡتَ کُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَکَ وَ قِهِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ رَبَّنَا وَ اَدۡخِلۡهُمۡ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدۡتَّهُمۡ وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنۡ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوۡمَئِذٍ فَقَدۡ رَحِمۡتَهٗ ؕ وَ ذٰلِکَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
উচ্চারণ : রাব্বানা, ওয়াছি’তা কুল্লা শাইয়ির-রাহমাহ, ওয়া-ইলমা, ফাগফির-লিললায়িনা তাবু ওয়াত্তাবায়ূ ছাবিলাক, ওয়াক্বিহিম আযাবাল-জাহিম।
রাব্বানা, ওয়াআদখিলহুম জান্নাতি আদনি-নিল্লাতি ওআত্তাহুম, ওয়ামান ছালাহা মিন আ-বাইহিম- ওয়া-আঝওয়াজিহিম, ওয়াযুররিয়্যাতিমি, ইন্নাকা-আংতাল আঝিঝুল-হাকিম।
ওয়াকি-হিমুছ-ছাইয়্যিয়াত, ওয়ামান তাক্বিছ-ছাইয়িয়্যাতি- ইয়াওমা ইযিন, ফাক্বাদ রাহিমতাহ, ওয়া-যালিকা হুওয়াল ফাওঝুল আজিম।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ।
আর তুমি তাদের অপরাধের আজাব হতে রক্ষা করুন এবং সেদিন তুমি যাকে অপরাধের আজাব থেকে রক্ষা করবে, অবশ্যই তাকে অনুগ্রহ করবে। আর এটিই মহাসাফল্য।’ (সূরা মুমিন, আয়াত : ৭-৯)