*শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই শীত মরশুমে নিজেকে সচল রাখা খুবই জরুরি। সুস্থ থাকতে এই মরশুমে খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
*আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে খাদ্যের চাহিদাও পরিবর্তিত হয়। এই সময় শরীরে ক্যালোরি, প্রোটিন, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম যুক্ত খাবারের দরকার হয়। শীতকালে, প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
*আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. মহাম্মদ ইকবালের মতে, শীতকালে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ নজর দিলে এবং সুষম শরীর গঠন করতে পারলে ঠান্ডা কম অনুভূত হয়। সামগ্রিক ভাবে, সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা যায়।
*সবুজ শাকসবজি ও অন্যান্য ফলমূল খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক থাকে। ঠান্ডা প্রতিরোধে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমলকি, গাজর, পালং শাক, বিটরুট, শুকনো ফল, লেবু, গরম জল এবং মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
*ডায়েটে আমলকি এবং গাজর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে: আমলকি খেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আমলকি একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ফল। এটি শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। আমলকি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
*গাজর খেলে ভিটামিন এ পাওয়া যায় এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যা স্বাভাবিক ভাবেই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। বিটরুট, গাজর এবং পালং শাক শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত আয়রন আমাদের হাড় শক্ত করতেও সহায়ক। এই সবজি খেলে আমরা অনেক রোগ থেকে নিরাপদে থাকতে পারব।
*মরশুমি ও সবুজ শাকসবজির উপকার: শুকনো ফলের মধ্যে বাদাম খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি আমাদের পাকস্থলী এবং মস্তিষ্কের লড়াই করার শক্তি প্রদান করে। এর পাশাপাশি গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
*পালং শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, গাজর জাতীয় সবজি শীতকালে অবশ্যই খেতে হবে। সবুজ শাকসবজির মধ্যে পালং শাক অন্যতম। এটি আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।