২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫৯:২৪ অপরাহ্ন


টয়লেটে ফোন ব্যবহার করলে ভয়াবহ রোগ হয় শরীরে!
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২৪
টয়লেটে ফোন ব্যবহার করলে ভয়াবহ রোগ হয় শরীরে!


টয়লেটের দরজার লক, ফ্লাশ, কমোড, পানি ট্যাপ ইত্যাদিতে জমে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া। টয়লেট যেহেতু বেশিরভাগ সময় ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকে তাই এই পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া আরও দ্রুত ছড়াতে পারে। এ ধরনের পরিবেশ ক্ষতিকর সেসব ব্যাকটেরিয়ার জন্য সহায়ক। এগুলো কোনোভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে রোগ বিস্তারে সময় লাগে না এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৬ সালে একটি বিশেষ জরিপ করা হয়, টয়লেটে মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে যাওয়া নিয়ে। তাতে দেখা যায়, এই অভ্যাস রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দারই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। এটি রীতিমতো বিপজ্জনক এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

বাথরুমে ফোন নেয়া স্বাস্থ্য ও জীবাণুর সংক্রমণের দিক থেকে কিছু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই ঝুঁকিগুলো বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। দেখে নিন টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কী ক্ষতি বয়ে আনে শরীরে-

১. ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ: বাথরুমের পরিবেশে প্রচুর জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকতে পারে, বিশেষত ই. কোলাই, সালমোনেলা এবং স্টেফাইলোকক্কাস। যখন ফোন নিয়ে বাথরুমে যান, তখন এই জীবাণুগুলো সহজেই আপনার ফোনে জমতে পারে। ফোনটি যদি পরবর্তীতে মুখ, চোখ বা হাতের সংস্পর্শে আসে, তবে এটি রোগের কারণ হতে পারে।

২. পেটের অসুখ ও খাদ্যবাহিত রোগ: বাথরুমের জীবাণু ফোনের মাধ্যমে খাদ্য বা হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে পেটের অসুখ বা ডায়রিয়া হতে পারে। খাদ্যবাহিত রোগের জীবাণু যেমন ই. কোলাই বা নরোভাইরাস বাথরুমের ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেশি থাকে, যা ফোনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

৩. হাতের হাইজিনে অবহেলা: বাথরুম ব্যবহারের পর ফোনে মনোযোগ দেওয়া হলে হাত ধোয়ার প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করা হতে পারে বা উপেক্ষিত হতে পারে। এতে জীবাণু হাত থেকে ফোনে এবং অন্য বস্তুতে ছড়িয়ে যেতে পারে।

৪. মনের একাগ্রতা ব্যাহত হওয়া: বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে আপনার মনোযোগ বিভক্ত হতে পারে। অনেকেই ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা মেইলে ডুবে থাকেন, যা দীর্ঘসময় বাথরুমে থাকার কারণ হতে পারে এবং এর ফলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। যেমন, দীর্ঘসময় বসে থাকলে মলদ্বারে চাপ পড়তে পারে, যা হেমোরয়েডের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. ফোনের ক্ষতি: ফোনে পানি বা আর্দ্রতা ঢোকার ঝুঁকি থাকে, যা ফোনের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। বাথরুমের স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ফোনে ফাঙ্গাস বা অন্যান্য জীবাণু জন্ম নিতে পারে, যা ফোনের স্ক্রিন বা মাইক্রোফোনের ক্ষতি করতে পারে।
বাথরুমে ফোন নেয়া মানসিকভাবে আরামদায়ক মনে হতে পারে, কিন্তু এটি জীবাণু সংক্রমণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি, এবং ফোনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব ঝুঁকি এড়াতে বাথরুমে ফোন না নেয়াই ভালো।