শীতের মরশুম আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের খাদ্যাভাসও পরিবর্তন করে। আসলে শীতকালে বাজারে অনেক ধরনের সবজি ও ফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া মানুষ গরম প্রকৃতির খাবার খোঁজে, যাতে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের শাক। একটি হল বেতো অথবা বাথুয়া শাক। এই শাকের পরোটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও সমান উপকারী। বেতো পাওয়া যায় শুধু শীতের মরশুমে।
শীতের মরশুমে চম্বলের স্থানীয় খাবার বেতো পরোটা। বেতো সাধারণত ক্ষেতে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যকর। এটি শুধুমাত্র শীতে উৎপন্ন হলেও এটি খেলে শরীরে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। চম্বলের অধিকাংশ মানুষ বেতো রায়তা তৈরি করে খায়। এছাড়াও পরোটা তৈরি করে খান।
চিকিত্সক সিদ্ধার্থ চৌহান বলেছেন, ‘‘শীতে বেতো খাওয়া উচিত। এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, সোডিয়াম এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ।’’
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই শাক অত্যন্ত উপকারী। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এই শাকপাতা কার্যকরী।
বেতো শাকের পরোটা তৈরি করবেন কীভাবে? বেতো পরোটা তৈরি করতে প্রথমে বেতো শাক ভাল করে ধুয়ে কেটে নিন। এবার একটি প্যানে জল গরম করুন অল্প আঁচে। এর মধ্যে বেতো শাক ও আলু দিয়ে ফোটাতে থাকুন।
প্যানটি ঢেকে রাখুন এবং পাতা নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। পাতা সিদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এবার একটি বড় পাত্রে ময়দা চেলে তাতে জিরার গুঁড়া, সেলারি, এক চিমটি হিং এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এরপর সিদ্ধ বেতো শাক ছেঁকে জল বের করে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপরে সেদ্ধ আলু ম্যাশ করুন এবং মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালভাবে মেশান।
তারপর কাঁচা লঙ্কা কেটে কেটে মিশিয়ে দিন এবং সবকিছু ভালভাবে মেখে নিন। এবার এই ময়দাটা ভালো করে মাখিয়ে একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দশ মিনিট রাখুন। এর পর পরোটা বানাতে পারেন।