রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে থানার দেওপাড়া ইউনিয়নের একজন নির্বাচিত মেম্বার প্রদীপ এককা (৪২) । সে পাশ্ববর্তী গোগ্রাম ইউনিয়নের পূজাতলা গ্রামের এক তরুণীকে (১৫) বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু মেয়ের বাবা পাত্রের বয়স চিন্তা করে মেম্বরের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হননি। এরপর চৌদুয়ার গ্রামের অপর এক যুবকের (২২) সাথে তরুণীর বিয়ে ঠিক করেন। এ ঘটনার পাঁচদিন পরেই তাদের বিয়ে হবার কথা।
এরই মধ্যে বিয়ের বিষয়টি মেম্বার প্রদীপ এককা জানতে পারেন। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে ছেলেটিকে ফাঁসিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন।
এ ব্যাপারে তাকে সহযোগীতা করতে রাজি হয় তারই গ্রামের ছেলে মিল্টন (২১)। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা দুজন মিলে ৯বোতল ফেন্সিডিল এবং একশ গ্রাম হেরোইন ক্রয় করে।
এরপর গতকাল বুধবার ( ২মার্চ) দিবাগ রাত ১০টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)কে খবর দেয়।
তাদের দেয় তথ্য অনুযায়ী ডিবির ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন চৌদুয়ার গ্রামে ছেলেটির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যুবককে গ্রেফতার করে। ওই সময় মিল্টনের দেখিয়ে দেয়া জায়গা থেকে নয় বোতল ফেন্সিডিল এবং একশ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে। কিন্তু এলাকায় ছেলেটি ভালো বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে ডিবির ওই দলটির সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে মিল্টনকে ডেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে সে মেম্বারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ছেলেটিকে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করে। সে জানায় বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে প্রদীপ মেম্বার এমন ষড়যন্ত্র করেছে।
পরে ইন্সপেক্টর রুহুল মেম্বারকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। তার আগেই কুচক্রি মেম্বার পালিয়ে যায়।
এ ব্যপারে মিল্টন এবং প্রদীপ মেম্বরকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেম্বারকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় মিথ্যা মামলা থেকে এভাবেই রক্ষা পেল কয়েকটি নিরপরাধ যুবক।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো: ইফতেখায়ের আলম।
তিনি জানান, গ্রেফতার মিল্টন বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন হোসেন এর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
রাজশাহীর সময় / জি আর