বিয়ের আগে থেকে এক মহিলার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল স্বামীর। সেই সম্পর্ক বিয়ের পরও চলছিল। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছতেই নিজের ১২দিন বয়সি শিশু সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্ত্রী। প্রতিবেশীদের চেষ্টায় গৃহবধূকে বাঁচানো গেলেও ১৮ মাসের শিশুটি মারা গেছে।
পূলিশ সূত্রে জানা গেছে, বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকার বাসিন্দা সোনাই টুডু ও মালতি টুডু বিয়ে হয় দু'বছর আগে। কিছুদিন আগে তাঁদের একটি সন্তান হয়।
বিয়ের পর মালতি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন তাঁর স্বামী তা জানাতে পারেন মালতি। এই নিয়ে তাঁদের দু'জনের মধ্যে অশান্তি হতো নিয়মিত।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দম্পতির মধ্যে প্রতিদিনই অশান্তি হতো। ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে মেরে ফেলারও হুমকি দিতেন স্বামী। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে তাঁদের একটি সন্তান হয়। ঝগড়ার সময় ১৮ দিনের সদ্যোজাতকে গলা টিপে খুন করেন মা।
শনিবার মালতির বাড়িতে চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন সন্তানের দেহ নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে তার মা। মাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশে। পুলিশ এসে শিশুটির দেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শিশুটির মা, দাদু-সহ ওই পরিবারের ৪ জনকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে সোনাই টুডুর স্বামী পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তি না কি অন্য কোনও বিষয় রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।