বাবা মারা যাওয়ার পর এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিল মা। এটাই মেনে নিতে পারেননি সেই মহিলার ১৮ বছরের মেয়ে। বাড়িতে শুরু করেছিলেন অশান্তি। এরপরই প্রেমের রাস্তা থেকে কাঁটা সরিয়ে ফেলতে মেয়েটিকে খুনের পরিকল্পনা করে যুবতীর মায়ের প্রেমিক। পরিকল্পনা মাফিক সর্ষে খেতে নিয়ে গিয়ে খুন করে যুবতীকে।
ভারতের নদিয়ার চাকদহের বিষ্ণুপুর খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার ওই এলাকারই একটি চাষজমি থেকে যুবতী লিপিকা মণ্ডলের (১৮) ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়েটির মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাস এই খুনের মূল হোতা। সর্ষে খেতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
জানা গেছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই সুজিতের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা ছিল ওই বিধবা মহিলার। কিন্তু তাতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ে লিপিকা বিশ্বাস। এই নিয়েই সংসারে বিভিন্ন সময় অশান্তি শুরু হয়ে যেত মা-মেয়ের। এরপরই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে যুবতীর মা ও তার প্রেমিক। সেই মোতাবেক বুধবার সকাল দশটার দিকে গ্রামেরই এক সর্ষে খেতে মেয়েকে নিয়ে যায় তাঁর মা। সেখানে অপেক্ষা করছিল প্রেমিক যুবক সুজিত বিশ্বাস।
লিপিকাকে তাঁর মায়ের সঙ্গে আসতে দেখেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সুজিত। একের পর এক কোপ বসায় মেয়েটির শরীরে। এ রপর সেখানেই যুবতীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বিধবা ও তার প্রেমিক। পরে স্থানীয়রা মাঠে গিয়ে লিপিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে চাকদহ থানার পুলিশ এসে সেই দেহ উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা লিপিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় প্রতিবেশীরা শুরুতেই অভিযোগের আঙুল তোলেন লিপিকার মা ও তার প্রেমিক সুজিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এদিকে খুনের পর থেকেই পলাতক রয়েছে দু’জন। এতেই সন্দেহ আরও তীব্র হচ্ছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে চাকদহ থানার পুলিশ