বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মেয়ে। কিছুতেই সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরোতে রাজি হচ্ছিল না। তাই পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে ২২বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দিল বাবা দাদা ও অন্য পাঁচ আত্মীয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার পিম্পড়ি মহীপাল গ্রামে। গত শুক্রবার ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বাবা, দাদা সহ অন্যান্য আত্মীয়দের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই ছাত্রী হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারির তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। সম্প্রতি বাড়ি থেকে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর জানা যায়, একই গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
স্বভাবতই, এ কথা ছড়িয়ে পড়ার পর বিয়ে ভেঙে যায় ওই তরুণীর। সেই ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর গত ২২ জানুয়ারি রাতে তরুণীকে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি খেতে নিয়ে যায় তাঁর বাবা, কাকা, দাদা এবং তুতো ভাইয়েরা। সেখানেই একটি দড়ির সাহায্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে। মেয়েকে খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাট করতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহ। তারপর পোড়া দেহাবশেষ ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় নদীতে, জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে লিম্বগাঁও থানার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে থানার তরফে।