প্রেমিকাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে প্রেমিক। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে এ ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগে এই এলাকায় একটি হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকছিল প্রেমিক যুগল। এরপর প্রেমিকাকে খুন করে হোটেলে রেখে থানায় যায়। সেখানে গিয়ে নিজের করা খুনের কথা জানায়। যা শুনে পুলিশ অফিসাররাও চমকে ওঠেন। তারপর হোটেলে এসে ঘর থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশকে দেওয়া অভিযুক্ত যুবকের বক্তব্য অনুযায়ী, কথা কাটাকাটি হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। তখন মাথা গরম হয়ে যায়। আর সেসব কথা সহ্য করতে না পেরে তাকে খুন করে নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করে। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোচবিহারের যুবতী সোমা মণ্ডলের নামে হালিশহরের একটি হোটেল বুক করা হয়েছিল। সেখানে কয়েকদিন ধরে প্রেমিক সুমন সাহার সঙ্গে থাকছিলেন প্রেমিকা সোমা। তবে শুরু থেকে এই যুগলের মধ্যে কোনও অশান্তি হতে দেখেননি হোটেল কর্মীরা। সেখানে বুধবার সন্ধ্যা থেকে প্রেমিকার দেখা মেলেনি। নিখোঁজ ছিল প্রেমিকও। সেটা দেখে হোটেল মালিকের সন্দেহ হয়। তবে তার আগেই সেখানে ওই প্রেমিক যুবককে নিয়ে হাজির হয় পুলিশ। আর তাতেই সবাই চমকে যান।
থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করার পর যুবককে গ্রেফতার করা হয়। যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, রাগের মাথায় প্রেমিকাকে খুন করেছে সে। হোটেলে এসে পুলিশ বন্ধ ঘর খুলে সোমার দেহ উদ্ধার করে। তখন বাথরুমে পড়ে ছিল সোমার দেহ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মাথা গরম করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে যুবক। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
হোটেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব বাগ বলেন, ‘গত ২৩ জানুয়ারি প্রথম ওরা হোটেলে আসে। কোচবিহারের বাসিন্দা ছিল যুবতী। দু’দিন হোটেলের ঘরেই ছিল। বুধবার হোটেলে পুলিশ আসে। ঘরের তালা খুলতেই দেখা যায় বাথরুমে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই যুবতী’।